ব্যাসেল-৩ পরিপালনে ইসলামি ব্যাংকিং

. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা

(৮ম অংশ)

ব্যাসেল-৩: বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সিস্টেমকে অধিকতর নিরাপদ রাখতে, ব্যাসেল কমিটি, ব্যাসেল-২ কে মডিফাই করে যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, তা-ই ব্যাসেল-৩। ব্যাংক খাত, অর্থনৈতিক ও আর্থিক যে কোনো ধরনের চাপ থেকে উদ্ভূত ধাক্কা সহ্য করার ক্ষমতাকে আরও বেশি শক্তিশালী করার জন্য ব্যাসেল-৩-এর যাত্রা শুরু হয়। লেহম্যান বাদ্রার্স ১৮৫০ সালে জার্মানিতে লেহম্যান ভাইদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫৮ বছর ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার আলোকে মার্কিন মুলুকে ব্যাংকিং সেক্টরে রেটিংয়ে চতুর্থ স্থান দখলকারী লেহম্যান বাদ্রার্স ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকটি ৬০ হাজার কোটি ডলার ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে এবং সাব-প্রাইম কেলেঙ্কারির দায়ভার নিয়ে ২০০৮ সালের ১৫ মার্চ নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আবেদন করে। একই বছর ছয় মাস পর সেপ্টেম্বর মাসে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। সারা দুনিয়ায় শুরু হয় তোলপাড় আর দেখা দেয় অর্থনৈতিক মন্দা। ব্যাংকিং জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করা এবং সুনামি হয়ে আসা একটা ইভেন্ট হলো সাব-প্রাইম মর্টগেজ ক্রাইসিস। ব্যাসেল কমিটি সেই অর্থনৈতিক মন্দার কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করার জন্য ব্যাসেল তৃতীয় আদর্শ (ব্যাসেল-৩) নীতিমালা প্রণয়নের দিকে ধাবিত হয়। ফলে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ব্যাসেল কমিটি ‘ব্যাসেল-৩ আদর্শ’ প্রকাশ করে। এই আদর্শের লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক তথা আর্থিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যাংকগুলোর কর্মক্ষমতা ও স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি করা এবং আর্থিক চাপ থেকে ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করার জন্য মূলধন কাঠামো উন্নত করা।

ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৮, তারিখ: ২১-১২-২০১৪ ‡uidelines on Risk Based Capital Adequacy (Revised Regulatory Capital Framework for banks in line with Basel III’ জারি করে। এটি ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততা নিরূপণ-সংক্রান্ত গাইডলাইন। গাইডলাইন্সের ৪নং অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে এবং ব্যাংকের মূলধন ও দায়ের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষার্থে ব্যাসেল-৩ কাঠামোর আলোকে ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার পাশাপাশি তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২০১৫ সাল থেকে ন্যূনতম শতকরা তিন শতাংশ লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

ব্যাসেল-৩-এর উদ্দেশ্য: একটি দেশের ব্যাংকগুলোর অনৈতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই সেদেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। বিশ্বে যতগুলো অর্থনৈতিক মন্দা সংগঠিত হয়েছে তার মূলে রয়েছে ব্যাংকগুলোর অনৈতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এর মাধ্যমে শুধু একটি প্রতিষ্ঠানই নয়, একটি জাতি ও সমাজ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। ২০০৭-০৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার জন্য মূলত ব্যাংকগুলোর দুর্বল নীতিই দায়ী। ব্যাংকগুলোর এসব দুর্বলতা দূর করার উদ্দেশ্যে ব্যাসেল কমিটি বিভিন্ন অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় একাধিক ব্যাসেল আর্দশ জারি করে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্যাসেল-৩ প্রণয়ন করা হয়। ব্যাসেল-৩-এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আমানতকারী কর্তৃক জমাকৃত ডিপোজিট ও মালিকের মূলধনের পর্যাপ্ততা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে ঝুঁকিভিত্তিক পুঁজির মানদণ্ড নিশ্চিত করা, স্বল্পমেয়াদি তহবিলের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করা এবং সার্বিক আর্থিক চিত্র কার্যকরভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা করা। ব্যাসেল-৩-এর সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হলো ব্যাসেল-২ এ উল্লেখিত তিনটি পিলারের সঙ্গে ন্যূনতম মূলধন প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি, উচ্চমানের তরল সম্পদ সংরক্ষণ এবং কাম্য লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় মূলধন স্থিতি বজায় রাখা।

ব্যাসেল-৩-এর মানদণ্ড: ব্যাসেল তৃতীয় হলো ব্যাসেল কমিটি কর্তৃক প্রণীত আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নিয়মের একটি সেট, যা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সিস্টেমের স্থিতিশীলতায় সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যাসেল-২-এর তিনটি পিলার, যথা (১) মিনিমাম ক্যাপিটাল রিকয়ারমেন্ট, (২) সুপারভাইজারি রিভিউ প্রসেস এবং (৩) মার্কেট ডিসিপ্লিন। ব্যাংকের ঝুঁকি মোকাবিলায় কী পরিমাণ মূলধন দরকার, তা পিলার-১-এর আওতায় নির্ধারণ করা হয়। চিহ্নিত ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংকের মূলধন যথাযথভাবে সংরক্ষণ হয়েছে কি না, তা পিলার-২-এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি উপাদানের মাধ্যমে রিভিউ করবে। উপাদান দুটি হলো (এক) অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন এবং মূলধন পর্যাপ্ততার ব্যবস্থাপনা, (দুই) অভ্যন্তরীণ মূলধন মূল্যায়নের তত্ত্বাবধায়ক পর্যালোচনা এবং ঝুঁকির দৃঢ়তা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া, সিস্টেম ও নিয়ন্ত্রণ। সুপারভাইজারি পর্যালোচনার চারটি মূলনীতি চিহ্নিত করা হয়েছে, তা হলো স্বচ্ছ অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া নির্ধারণ, মূলধনের পর্যাপ্ততা, মূলধনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নিদিষ্ট ঝুঁকি প্রোফাইল ও নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ। আর পিলার-৩-এর আওতায় ব্যাংকগুলো তাদের ঝুঁকি মোকাবিলায় মূলধনের ভিত্তি বাড়ানোসহ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো জনগণকে জানানোর ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ডিসেম্বরে Capital Adequacy and Market Discipline for Financial Institutons জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কেট ডিসিপ্লিনের যে নীতিমালা করেছে, সেটা বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও বাড়বে। মার্কেট ডিসিপ্লিনের নীতিমালা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে গুণগত ও পরিমাণগত উভয় ধরনের তথ্য, যা প্রায় ৩৫ ধরনের তথ্য নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রতি ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এর মধ্যে আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা, মূলধন, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ, খেলাপি ঋণ, রাইট অফ, রাইট অফ লোন রিকোভারি, মার্কেট রিস্ক, ক্রেডিট রিস্ক, অপারেশন রিস্ক, লাভ-ক্ষতি, আমানতকারীর সংখ্যা, আমানতের পরিমাণ, শেয়ারহোল্ডারের সংখ্যা, শেয়ারের পরিমাণ, ঋণ গ্রহীতা, ঋণের পরিমাণ ও ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের তথ্য থাকবে। ফলে আমানতকারীরা ব্যাংক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন এবং তারা প্রকৃত ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত হয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ব্যাসেল-২-এর তিনটি পিলারের সঙ্গে ন্যূনতম মূলধন প্রয়োজনীয়তার পরিমাণ বৃদ্ধি, লিভারেজ অনুপাত ও তরলতা সম্পর্কে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে ব্যাসেল কমিটি।

১. ন্যূনতম মূলধন প্রয়োজনীয়তা: আমানতকারীদের সুরক্ষা, ব্যাংকের স্থিতিশীলতা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতা পরিমাপের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয় মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর)। যে ব্যাংকের সিএআর যত বেশি, সে ব্যাংকের অর্থনৈতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা তত বেশি। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংকিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ব্যাসেল-৩-এর জন্য নতুন ন্যূনতম মূলধন প্রয়োজনীয়তা মান নির্ধারণ করে। সেই হিসেবে ব্যাসেল-৩-তে, ব্যাসেল-২-এর চেয়ে ২.৫ শতাংশ মূলধন বেশি রাখতে হয়, অর্থ্যাৎ Minimum Capital Requirement হবে ১২.৫ শতাংশ। এই ২.৫ শতাংশ বেশি মূলধনকে বলা হয় Capital Conservation Buffer যদি এ মূলধন সংরক্ষণ করতে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হয় তাহলে সে বছর ব্যাংকটি কোনো ধরনের উরারফবহফ দিতে পারবে না। ব্যাসেল-৩-তে, Non-cumulative Irredeemable Preference Share থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। Revaluation Reserve পর্যায়ক্রমে মূলধন থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। Revaluation Asset ejv nq Security & Equity Instrument -কে, যেমন ১০০ কোটি টাকা দিয়ে কেনা বিল্ডিংয়ের বাজারমূল্য ১২০ কোটি টাকা ধরে অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকার ৫০ শতাংশ বা ১০ কোটি টাকাকে মূলধন হিসেবে গণ্য করা হয়। ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী Revaluation Reserve -কে প্রত্যেক বছর ২০ শতাংশ (দুই কোটি) করে কমাতে হবে।

২. লিভারেজ অনুপাত: ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়িত হলেও বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার মতো ব্যাংকের লিভারেজ অনুপাত তুলনামূলকভাবে কাম্য স্তরে পৌঁছাতে পারেনি। লিভারেজ অনুপাত কাক্সিক্ষত মাত্রায় উন্নীতকরণের মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংকসমূহের বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি ব্যয় (এলসি চার্জ) হ্রাস পাবে, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা এবং গুণগত মূলধন বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে অপ্রত্যাশিত ক্ষতির (Unexpected Loss) বিপরীতে ঝুঁকি সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। লিভারেজ রেশিও নামে আলাদাভাবে একটি অংশ মূলধন রাখতে হয়। Banks for International Settlement (BIS) প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে প্রথমে লিভারেজ অনুপাত ন্যূনতম তিন শতাংশ নির্ধারণ করেছিল, যা ব্যাসেল-৩-এর আদর্শে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি ছিল ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন প্রয়োজনীয়তার ব্যাকড্রপ হিসেবে পরিবেশন করা। সাধারণভাবে, ব্যাংকগুলোকে তিন শতাংশের বেশি লিভারেজ অনুপাত সংরক্ষণ করতে হয়। এটি মোট একীভূত ব্যাংক সম্পদের দ্বারা টিয়ার-১ মূলধনকে বিভাজন করে গণনা করা হয়। ব্যাসেল-৩ কাঠামো অনুযায়ী ব্যাংকের মোট টায়ার-১ মূলধন ও মোট সম্পদের অনুপাতকে লিভারেজ অনুপাত বলা হয়। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানকল্পে ব্যাংকগুলোকে লিভারেজ অনুপাত তিন শতাংশের সঙ্গে ২০২৩ সাল থেকে বার্ষিক ০.২৫ শতাংশ হারে ২০২৬ সালে মধ্যে চার বছরে এক শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। অতএব, মোট লিভারেজ অনুপাত চার শতাংশ সংরক্ষণ করতে হবে।

৩. ব্যাংকের তারল্য দক্ষতা: ব্যাংক মালিক পক্ষের মূলধন ও আমানতকারীদের জমাকৃত অর্থ নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই টাকা ব্যাংক আবার বিভিন্ন মেয়াদে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করে। যেহেতু বিনিয়োগকৃত টাকা চাহিবামাত্র ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, সেহেতু ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে আমানতকারীদের টাকা চাহিবামাত্র ফেরত দেয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তারল্য বজায় রাখতে হয়। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ব্যাসেল কমিটি, ব্যাসেল-৩-তে তারল্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাসেল আদর্শে অন্তর্ভুক্ত করেছে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি তারল্য ঝুঁকি বিবেচনায় মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত বজায় রাখতে হয়। ব্যাসেল-৩ এ আমানতকারীদের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা ও ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ব্যাসেল-৩-এর আওতায় প্রয়োজনীয় মূলধনের অতিরিক্ত বাফার মূলধন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তরলতা কভারেজ অনুপাত (এলসিআর) অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান তার স্বল্পমেয়াদি বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য তাদের চলমান ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকা উচ্চ তরল সম্পদের অনুপাতকে বোঝায়। ব্যাসেল-৩ সংকটের সময় ব্যাংকগুলোর তারল্য সমুন্নত রাখার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে তারল্য সুরক্ষা অনুপাত (Liquidity Coverage Ratio) যা এক মাস ধরে চলা সংকট উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় তারল্য সংরক্ষণ করে এবং নিট স্থিতিশীল তহবিল অনুপাত (Net Stable Funding Ratio), যা এক বছরের তারল্য সংকট মেটানোর ব্যবস্থা করে। এটি এমনই এক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আর্থিক সংকটের সময় নিজস্ব মূলধন দিয়েই মোকাবিলার চেষ্টা করে। এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাসেল-৩-এর দুটি Standard-Capital Standard Ges Liquidity Standard| (…চলবে)

অফিসার, ইসলামি ব্যাংকিং ডিভিশন

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড

drmdgulammustafaÑgmail.com