ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন মানাতে গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

এইচ এম সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন মানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও আসেনি কোনো সুফল। শহরে বন্ধ নেই অটোরিকশার চলাচল, উল্টো দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। 

প্রতিদিনই শহরের আশপাশের গ্রামগুলো থেকে অটোরিকশা ঢুকছে শহরে। অন্যদিকে হঠাৎই শহরের গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। অবশ্য বিকল্প উপায়ে ব্যাটারি চার্জ করেও কেউ কেউ রিকশা চালাচ্ছেন। এদিকে এসব যান চলাচল বন্ধ থাকায় অফিস, বাজার ও দোকানপাটে আসা মানুষকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। শহরের দাতিয়ারার একটি গ্যারেজের মালিক আল আমিন জানান, পুলিশ ও ওয়াপদার লোকজন এসে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এখন যেসব রিকশা চলছে, সেগুলো শহরের বাইরে থেকে আসা। আর শহরের রিকশাগুলোর মধ্যে কিছু রিকশা বাসাবাড়িতে চার্জ দিয়ে চলছে। 

এদিকে বিকল ৪টা পর্যন্ত শহরে দোকানপাট ও বাজার খোলা থাকায় জেলা শহর ছাড়াও শহরতলির  বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ শহরে আসা-যাওয়া করে থাকে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনেও মানুষের চলাচল রয়েছে। কিন্তু রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ছেন এসব যাত্রী। পায়ে হেঁটেই তাদের করতে হচ্ছে চলাচল। রিকশা মিললেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হান্নান বলেন, ‘চার্জিং স্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ বৈধ। সরকারি নিয়ম রয়েছে সংযোগ দেওয়ার। কিন্তু যানবাহনগুলো অবৈধ। আমার এলাকায় প্রায় ১০০ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’ বিউবো বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান তার আওতাধীন এলাকার ৮০টি গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের গ্যারেজগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগের কাটাকাটি শেষ। তবে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার গ্যারেজগুলো চালু রয়েছে। সেখানে চার্জ দিয়ে যানবাহনগুলো শহরে আসে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সায়ীদ জানান, ‘প্রায় ২০০ গ্যারেজ বন্ধ করা হয়েছে। অটোরিকশাগুলো অবৈধ যান। এগুলো যেসব গ্যারেজে চার্জ দেওয়া হয়, সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করলে এসব যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আপতত লকডাউন মানানোর লক্ষ্যেই আমরা এ পথে এগিয়েছি। কারণ তাদের কোনোভাবেই কন্ট্রোল করা যাচ্ছিল না।’