ব্রাহ্মণবাড়িয়া টাউনখাল পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পানি নিষ্কাশন আর নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে সেই ব্রিটিশ শাসনামলে খননকৃত ব্রাহ্মণবাড়িয়া টাউনখাল। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ খাল এখন দখল-দূষণে অনেকটা সরু ড্রেন। দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ স্থাপনা। ঐতিহ্যবাহী এ টাউনখাল পুনরুদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। খালের দুই পাড় দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে শহরের টানবাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শুরু করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেলের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে খালের দুই পাড়ে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফ উল আরেফীন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্যসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানি নিষ্কাশন এবং নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করে খনন করা হয় টাউনখাল। তবে খালটি ঠিক কত সালে এবং কত টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে। তিতাস নদীর জগতবাজার থেকে গোকর্ণঘাট পর্যন্ত শহরের বিক চিড়ে খননকৃত খালটির দৈর্ঘ্য ৪.৮০ কিলোমিটার। খালের প্রস্থ একেক জায়গায় একেক রকম। তবে এর গড় প্রস্থ ৯০ ফুট। খালটি দুই দিকেই তিতাস নদীতে গিয়ে মিশেছে। এক সময় এই খালের পানিতে গোসল আর ধর্মজাল ফেলে মাছ ধরার দৃশ্য ছিল নিত্যদিনের। ছোট-বড় অনেক নৌকাও চলাচল করত এই খাল দিয়ে। কিন্তু সেসব এখন সোনালি অতীত। দখল আর দূষণে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ঐতিহ্যবাহী টাউনখাল এখন সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। খালটি পুনঃখনন করে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দীর্ঘদিনের দাবি স্থানীয়দের।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্য জানান, ‘টানবাজার থেকে গোকর্ণঘাট অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, ‘টাউনখালের দুই পাড়ে যারা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছিল সেগুলোকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চিহ্নিত করা হয়।