ব্রোকারেজের মার্জিন ঋণ ও ডিলারের বিনিয়োগের তথ্য চেয়ে চিঠি

আতাউর রহমান: পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউসের মার্জিন ঋণ এবং ডিলারের বিনিয়োগের তথ্য জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট নিয়ম রেগুলেটরি রিপোর্টিং সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে ট্রেক কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ব্রোকরেজ হাউসগুলোকে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল ও ২১ এপ্রিল ডিএসইর দেয়া চিঠির বিষয়ে অবহিত করে স্টক-ব্রোকারদের মার্জিন ঋণ এবং স্টক-ডিলারদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জমা দেয়ার চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ব্রোকারেজ ও ডিলারকে জুন মাসের উপরোক্ত তথ্য জুলাইয়ের মধ্যে ট্রেক হোল্ডারদের জন্য তৈরি রেগুলেটরি রিপোর্টিং সফ্টওয়্যারের (http://dss.dse.com.bd:9090/) মাধ্যমে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, এর কোনো হার্ড কপির প্রয়োজন নেই।

এর আগে পুঁজিবাজারে গত কয়েক বছরে কয়েকটি ব্রোকরেজ হাউস বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে অনেক বোকারেজ হাউসকে ডুপ্লিকেট ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর ডিএসই ও সিএসইকে সব ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন ও তদন্তের নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি প্রান্তিকে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) তথ্য সব ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে নেয় স্টক এক্সচেঞ্জ। সেই সঙ্গে বোকারেজ হাউসগুলোর ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার পর্যবেক্ষণ শুরু করে স্টক এক্সচেঞ্জ। সেই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসের মার্জিন ঋণ এবং ডিলারের বিনিয়োগ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া

উল্লেখ, বিএসইসি গত বছর ২২ মার্চ গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে লিমিট সুবিধা স্থগিত করা হবে, যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসেবে আইপিও কোটা সুবিধা বাতিল হবে, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার বিপরীতে পাওয়া লভ্যাংশ স্থগিত থাকবে এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন এবং নতুন শাখা ও বুথ খোলা বন্ধ রাখা হবে। এর আগে গত বছর ২১ মার্চ বিনিয়োগকারীদের আমানত অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেয়া তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং বানকো সিকিউরিটিজসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউসের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়।