ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ ও চিকিৎসা

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ জানা থাকলে এর চিকিৎসা নিতে সহজ হয়। এ রোগের উপসর্গগুলো হলোÑক. জ্বর। খ. মাথাব্যথা। গ. কাশি। ঘ. রক্তবমি। ঙ. মানসিক অবস্থার পরিবর্তন। চ. নাকের ওপর কালো কালো ছোপ। ছ. দেখতে অসুবিধা হওয়া। জ. নাক বন্ধ, সর্দি, নাক দিয়ে কালচে কফ বেরোনো; নাকের ভেতরের অংশ কালচে রঙের হওয়া। ঝ. মুখ ও গালে ব্যথা। কারও কারও ক্ষেত্রে অবশ হয়ে যাওয়া। ঞ. প্রাথমিকভাবে ত্বকের যেখানে আঘাত আছে, সেখানে সংক্রমণ হতে পারে, তারপর তা দ্রুত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। ট. গায়ে ফোসকা, ত্বকে লাল ভাব ও ফোলা ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক থাকা উচিত। ঠ. দাঁতে ব্যথা বা দাঁত আলগা হয়ে আসা। ড. দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা বা দুটি করে জিনিস দেখা। ঢ. সংক্রমণ বেশি ছড়ালে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা: বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দেয়া হবে শিগগিরই। এ নিয়ে কাজ করছে কভিডজাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

সতর্কতা: অসাড় মুখ, নাকের এক দিক বন্ধ এবং চোখ ফোলা বা ব্যথার মতো উপসর্গগুলো দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সংক্রমণ এড়াতে করণীয়: ডায়াবেটিস ছাড়াও যেসব কভিড আক্রান্ত রোগীর ক্যানসার এবং কিডনি বা লিভারের সমস্যা রয়েছে, তারা সাবধান থাকুন। এটা শুধু কভিডের চিকিৎসা চলার সময় নয়, সুস্থ হয়ে ওঠার পরও।

কভিড সংক্রমণ হলে কম মাত্রায় অল্প সময়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড ব্যবহার করুন। ডায়াবেটিস রোগীদের এ ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দেখে নিন। ধুলাবালি এবং স্যাঁতসেঁতে ও অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন এলাকা এড়িয়ে চলুন। ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার বেশি খান। বাতাস চলাচল করে, এমন ঘরে বসবাস করার চেষ্টা করুন। রোগীকে অক্সিজেন দেয়ার সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কি না, তা খেয়াল করুন। কেননা অক্সিজেন সিলিন্ডারও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের অন্যতম উৎস। হাসপাতালের এয়ারকন্ডিশন ও ভেন্টিলেটর থেকেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়াতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তাই এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখুন।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

ইউজিসি অধ্যাপক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক

কভিড-১৯-বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা