শেয়ার বিজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে দেউলিয়া হয়ে গেছে ভারতের এয়ারলাইন্স গো ফার্স্ট। খবর: আনন্দবাজার।
স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইন্সটি তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টিকিটের পুরো অর্থ ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছে গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে জেট এয়ারওয়েজের পতনের পর এ প্রথম ভারতের বড় কোনো এয়ার লাইন অর্থের অভাবে ঋণ খেলাপি হলো।
গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘প্রাট অ্যান্ড হুইটনি’র দিকে আঙুল তুলেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, পি অ্যান্ড ডব্লিউ-এর কারণে কিছুদিন ধরে তাদের অনেক উড়োজাহাজ অচল রয়েছে। যে কারণ তারা নগদ অর্থের মারাত্মক সংকটে পড়েছে।
গো ফার্স্টের পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাট অ্যান্ড হুইটনি ইঞ্জিন সরবরাহ করতে ক্রামগত ব্যর্থ হচ্ছিল এবং সেই সংখ্যা ক্রমে বাড়ছিল। যে কারণে আমাদের কোম্পানি এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। তারা জানান, এ সমস্যার কারণে তাদের ২৫টি উড়োজাহাজ অচল হয়ে পড়ে, যা তাদের মোট বহরের প্রায় অর্ধেক। এজন্য তাদের ১০ হাজার ৮০০ কোটি রুপি লোকসান হয়।
এয়ারলাইনটি আরও অভিযোগ করে, তারা আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট সমাধানে সালিশ ডেকেছিল এবং জরুরি ভিত্তিতে ১০টি কার্যক্ষম ইঞ্জিন সরবরাহ করতে বলেছিল। কিন্তু প্রাট অ্যান্ড হুইটনি কর্তৃপক্ষ সালিশে হওয়া সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেনি।
জবাবে প্রাট অ্যান্ড হুইটনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ২০২৩ সালের মার্চে হওয়া সালিশের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে যাচ্ছে। এটা এখন যেহেতু আইনি বিষয় তাই আমরা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এ বিষয়ে ভারতের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী জ্যাতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে সাধ্যের মধ্যে সম্ভাব্য সব রকমভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে। দ্য ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল আগামী ৪ মে গো ফার্স্টের দেউলিয়া ঘোষণা করার আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে।
দেউলিয়া ঘোষণা করতে গো ফার্স্টের আবেদন ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারলাইনগুলো এবং বাজারে নতুন প্রবেশ করা আকাসা এয়ারকে বাজারের একটি বৃহত্তর অংশ দখল করতে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে ভারতে ১০২টি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ অচল হয়ে পড়ে আছে। তার মধ্যে ৬০টিই গো ফার্স্টের এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিগো এয়ার লাইনের।