শেয়ার বিজ ডেস্ক : ইসরাইলের তৈরি ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ভারত। আর একটার পর একটা সেসব ড্রোন ভূপাতিত করছে পাকিস্তানি বাহিনী। এখন পর্যন্ত ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির কর্মকর্তারা। অাজ শুক্রবার (৯ মে) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার শুক্রবার (৯ মে) জানিয়েছেন, বুধবার (৭ মে) থেকে বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯টি ড্রোন এবং বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আরও ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে আবাসিক এলাকায় বিনা উসকানিতে ভারতের গোলাবর্ষণে পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। আজাদ কাশ্মীরের হাজিরা, ফরোয়ার্ড কাহুতা ও খুইরাত্তা এলাকায় ভারি কামান ব্যবহার করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে, যার ফলে বেসামরিক হতাহত এবং কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্রের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেসামরিক জনবসতি লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনী ভারি কামান ব্যবহার করছে। তাৎক্ষণিক জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করেছে। নিরাপত্তা সূত্রের মতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অব্যাহত প্রতিরোধের পর ভারতীয় সেনারা বাত্তাল সেক্টরের বিপরীতে ধর্মশাল ২ পোস্টের কাছে সাদা পতাকাও উড়িয়েছে।
ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে ভারত। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ নাকচ করে। এরপরও নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের পাল্টা পদক্ষেপ উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অবশেষে গত মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ভারত।
তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা প্রতিহতের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় বলে দাবি ইসলামাবাদের। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরপর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাক কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাত থেকে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ভারত। হামলায় ইসরাইলি হ্যারপ কামিকাজি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়।
এরপর গত বৃহস্পতিবার ভারতের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, পাকিস্তান তাদের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে। তবে পাকিস্তান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। পাকিস্তানিরা কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার রাতে ভারতের বিমান ঠেকিয়ে দিয়েছে পাক বাহিনী। এখন ‘সময় ও সুযোগ মতো’ হামলার জবাব দেয়া হবে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা আরও বলছেন, কূটনৈতিক উপায়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বন্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। কূটনীতি ব্যর্থ হলে ভারতে পাল্টা হামলা চালানো হবে।