ভারতে আমদানিকৃত সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ভারতে গত এক বছরে আমদানি করা অপরিশোধিত সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলের দাম ৪৬ থেকে ৫৭ শতাংশ কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে তার প্রতিফলন তেমন একটা দেখা যায়নি। খবর: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

খুচরা ও পাইকারি বাজারে এ দুই ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ।

সলভ্যান্ট এক্সট্র্যাকটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএআই) জানিয়েছে, এখন সূর্যমুখী তেলের আমদানি ব্যয় সয়াবিন ও পাম তেলের চেয়ে কম পড়ছে। অথচ এক বছর আগে পরিস্থিতি ছিল একদম বিপরীত।

গত শুক্রবার মুম্বাইয়ের আমদানিকারকদের হিসাবে প্রতি টন অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের দাম ছিল ৯৯৫ ডলার। এদিন অপরিশোধিত পাম ও সয়াবিন তেলের দাম ছিল যথাক্রমে টনপ্রতি ১ হাজার ৫ ডলার ও ১ হাজার ৪৫ ডলার। এক বছর আগে অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের দাম ছিল টনপ্রতি ২ হাজার ৩০০ ডলার।

এসইএআইর নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা বলেন, ইউক্রেন আবার রপ্তানি শুরু করার পর সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে সূর্যমুখী তেল আনা হয়েছে এবং এখনও তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ তেল আছে। সে জন্য গত কয়েক মাসে সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে।

তবে ভারতের ক্রেতারা এখনও সেই মূল্যহ্রাসের সুফল পাচ্ছেন না। দেশটির বাজারে সূর্যমুখী ও সয়াবিনের দাম এখনও বেশি। ভোজ্যতেল খাতের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দাম কমার সুফল পেতে আরও কয়েক দিন লেগে যাবে। কারণ এ তেল পরিশোধন, প্যাকেটজাত ও বিপণন করতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়।

ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় দেশটির ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোকে দাম কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা কোম্পানিগুলোকে এ নিয়ে দুবার সতর্ক করেছে। এসইএআইও তার সদস্যদের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।

ভারতের খুচরা বাজারে সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলের দাম অতটা না কমলেও পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অনেকটা কমেছে। অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি মূল্য ৪৮ শতাংশ কমেছে আর তার পাইকারি ও খুচরা মূল্য কমেছে ৩৭ থেকে ৩৮ শতাংশ।

এতে বাজারে বড় প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারতের ভোজ্যতেলের বাজারে পাম তেলের হিস্যা প্রায় ৪০ শতাংশ।