শেয়ার বিজ ডেস্ক: দেড় দশকে দুই, তিন, চার চাকা ও বাস মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ বৈদ্যুতিক গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) বিক্রি হয়েছে ভারতে। চলতি বছর ঠিক এই সমানসংখ্যক গাড়ি বিক্রি হবে বলে আশাবাদী দেশটির সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিকলস (এসএমইভি)। খবর: আনন্দবাজার।
এই বিক্রির চালিকাশক্তি হবে দুই চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি। গত বছরে যার বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের গাড়ি শিল্পের অবস্থা বেশ নড়বড়ে। কভিড-১৯ মহামারি, সেই সঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের চড়া দামের জন্য গাড়ি চালানোর খরচ বেড়েছে। তাই অনেক ক্রেতা গাড়ি কেনার চিন্তা বাদ দিয়েছেন। এর মধ্যে জ্বালানির আমদানি খরচ কমাতে বিকল্প জ্বালানির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেয়া নিয়ে সংকট রয়েছে দেশটিতে। আর একেই বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির পথে অন্তরায় মনে করা হচ্ছে।
এসএমইভির পরিচালক সোহিন্দর গিল বলেন, গত কয়েক মাসে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। গত ১৫ বছরে এ ধরনের ১০ লাখ গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। চলতি বছর সেই সমানসংখ্যক গাড়ি বিক্রি হবে, আশা করছি।
এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাদের মূল ভরসা কেন্দ্রের বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রকল্প ‘ফেম২’। তার সঙ্গেই বৈদ্যুতিক দুই চাকার গাড়ি বিক্রির হার বৃদ্ধিতে আস্থা রাখছেন গিল। এ প্রসঙ্গে এসএমইভি তুলে ধরেছে ২০২১ সালের বিক্রির হিসাব। হিসাব বলছে, গত বছর দ্রুতগতির (ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিবেগ) দুই চাকার গাড়ি বিক্রি বেড়েছে ৪২৫ শতাংশ। এই গাড়ি চালানোর জন্য লাইসেন্স ও নিবন্ধন জরুরি। তার চেয়ে কম গতির দুই চাকার গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
ফেম-২ প্রকল্পে দ্রুতগতির দুই চাকা ও চার চাকার বাণিজ্যিক গাড়ি ও বাসের ক্ষেত্রে ভর্তুকি পাওয়া যায়। ফলে ভর্তুকির অভাবে কম দামি দুই চাকা বা ব্যক্তিগত চার চাকার গাড়ির চাহিদা ততটা বাড়ছে না। গিল মনে করেন, পেট্রোলের চড়া মূল্যের কারণে তাই অনেকেই সব মিলিয়ে খরচ কম বলে দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক দুই চাকার গাড়ি কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। তাতে ভর করেই এ বছর ব্যবসা পাঁচ-ছয়গুণ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।