ভারতে হচ্ছে সর্ববৃহৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের সীমানা বিভক্তকারী সল্ট ডেজার্টে আগামী তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। খবর: এপি।

খাভদা রিনিউয়্যাবেল এনার্জি পার্কের ডেভেলপাররা জানিয়েছেন, বিশালতার কারণে এই সৌর ও বায়ু জ্বালানি প্রকল্পটিকে মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে। প্রকল্পটির সবচেয়ে কাছে অবস্থিত খাভদা গ্রামের নামানুসারে প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পটির জন্য সর্বমোট ৭২৬ বর্গকিলোমিটার জায়গা লাগছে। শেষ হলে প্রকল্পটির আয়তন সিঙ্গাপুরের সমান হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২ দশমিক ২৬ বিলিয়ন বা ২ কোটি ২৬ লাখ ডলারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

এই শিল্প প্রকল্পটি বেশি আলোচিত হওয়ার কারণ হচ্ছে, এটি পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যের রন নামক মরুভূমিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নিকটতম মানববসতি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমানা ঘেঁষে এটি অবস্থিত। প্রকল্পটিতে ৪ হাজার শ্রমিক ও ৫০০ প্রকৌশলী কাজ করছেন।

সম্পূর্ণ হলে এখান থেকে বছরে ৩০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তি পাওয়া যাবে, যা দিয়ে প্রায় ১৮ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৮০ লাখ পরিবারের চাহিদা মেটানো যাবে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে এই দশকের শেষ নাগাদ ৫০০ গিগাওয়াটের ক্লিন এনার্জি সুবিধা সরবরাহের লক্ষ্যে ও ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে এই প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এখন পর্যন্ত ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বর্তমানে মাত্র ১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হয়।

আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের খাভদা প্রকল্প প্রধান কেএসআরকে ভার্মা বলেন, এই প্রকল্পে কর্মরতদের মধ্যে ভারতের সব অঞ্চলের মানুষ রয়েছেন। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের কাজ করা জৈন নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কেবল মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ করতে প্রথম ছয় মাস লেগেছে। তিনি বলেন, এই বছরের এপ্রিল থেকে আমরা প্রকল্পের মূল কাজ শুরু করেছি।