শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও যুক্তরাজ্য। খবর: রয়টার্স।
দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মোদির সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে সম্মত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি আগামী অক্টোবর নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ভারতে সফর এসেছেন বরিস জনসন। সফরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং নিরাপত্তার ইস্যুতে আরও জোর দেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের আশা, পশ্চিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্কের প্রস্তাব রাশিয়ার ওপর ভারতের প্রতিরক্ষা নির্ভরতা কমাতে উৎসাহিত করবে। এমনই মনে করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
জনসন তার দুই দিন সফরের শেষ দিন মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের মধ্যে দারুণ আলোচনা হয়েছে। এতে আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। আমরা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বে সম্মত হয়েছি।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহে এ আলোচনার তৃতীয় পর্যায় শুরু হবে। জনসন বলেন, সামরিক সরঞ্জামের ব্যয়বহুল আমদানি কমাতে ভারতের নিজস্ব ফাইটার জেট তৈরির প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা হবে। ভারতের বিমান বাহিনীর বহরে এখন রাশিয়া, ব্রিটিশ ও ফরাসির তৈরি যুদ্ধবিমান রয়েছে।
সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন জনসন। তিনি বলেন, পুতিনের বিশাল সেনাবাহিনী রয়েছে। তার রাজনৈতিক অবস্থানও জটিল, কেননা তিনি এক সর্বনাশা ভুল করেছেন। তার হাতে এখন একটিই উপায়। তিনি এখন তার ভয়াবহ সব অস্ত্রে ইউক্রেনের নাগরিকদের পিষে ফেলতে চাচ্ছেন। আগামী কয়েক মাসে ভøাদিমির পুতিন যতই সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব দেখান না কেন, তা কোনো ব্যাপার নয়। তিনি ইউক্রেনবাসীর কঠিন মননকে পরাজিত করতে পারবেন না।