জীবনে আত্মোন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কীভাবে এবং কী গুণাবলি থাকলে ভালো মানুষ হওয়া যায়? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন জগদ্বিখ্যাত কয়েকজন মনীষী। তারই চৌম্বক অংশ তুলে ধরা হলো
কল্যাণকামী
একজন ভালো মানুষ কখনও নেতিবাচক কিছু ভাবতে বা করতে পারবেন না। তিনি কখনও স্বার্থপর হবেন না। কল্যাণকামী হতে পারা একটি বড় যোগ্যতা। সবাই চাইলেই এমন হতে পারেন না। কল্যাণকামী মানুষ অন্যের বিপদে এগিয়ে আসেন। ব্যস্ততার এই যুগে কয়জন এমন করতে পারেন? এমনকি তিনি অপরিচিতজনকেও সহায়তা করে থাকেন।
সহানুভূতিশীল
সহানুভূতিশীল হওয়া মানুষের মৌলিক কিছু গুণের মধ্যে একটি। এ গুণটি ছাড়া মানুষকে সত্যিকার অর্থে মানুষ বলা যায় না। আপনি যদি একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। সহানুভূতিশীল মানুষ মূলত অন্যের ব্যথা বোঝার
ক্ষমতা রাখেন। অন্যের কষ্ট অনুধাবন করতে পারেন। অন্যের বিপদে তার পাশে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।
দায়িত্বশীল
দায়িত্বশীল পরিপক্ব মানুষ নিজের কাজের দায়িত্ব
নিজেই নিয়ে থাকেন। কোনো কাজের জন্য অপরকে দোষারোপ করেন না। পাছে লোকে কিছু বলেÑশুনে
দমে যান না। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপান না। একজন দায়িত্বশীল মানুষ সবসময় যৌক্তিক হয়ে থাকেন। তিনি জানেন, কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তিনি
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকেন, যেন কোনো ভুল না হয়।
সততা
একজন ভালো মানুষ সবসময় বিশ্বাস করেন যে, জীবনযাপনের জন্য সততাই সবচেয়ে ভালো পন্থা। তিনি সব সময় সৎ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। যে ব্যক্তি নিজের কাছে সৎ, তিনি সবার কাছে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজেকে নিয়ে খুব গর্ব করে থাকে কিন্তু সৎ মানুষ নিজেকে কখনও বড় ভাবেন না। নিজেকে অন্যদের তুলনায় খুব নগণ্য মনে করেন।
ন্যায়ের পথে চলা ও নীতিবান থাকা
একজন নীতিবান নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করেন না। নীতির ক্ষেত্রে অটল থাকলেও কখনও পক্ষপাতদোষে আক্রান্ত হন না। আসলেই নিরপেক্ষতা একটি বিরল গুণ। একজন নীতিবান মানুষ নিজের জন্য ও সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।
নম্রতা
একজন ভালো মানুষকে অবশ্যই নম্র ও ভদ্র হতে হবে। অন্যের দুর্বলতা প্রকাশ না করে তার ভালো দিকটিই
সবার সামনে প্রকাশ করেন তিনি। তিনি সব সময় নিরহঙ্কার থাকেন।
মো. রাশিদুল আলম মোল্যা
ইন্টারনেট থেকে অনূদিত