Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 6:02 pm

ভাসানচরের পথে আরও ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা

প্রতিনিধি, কক্সবাজার: স্বেচ্ছায় কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে ১১ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা । বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ১ম পর্বে ১৯টি বাসে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হন ১ হাজার ৬ জন রোহিঙ্গা।

বিকাল ৫টার দিকে আরও ১৯ বাসে ৬৪৮ জন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)  দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।

তিনি বলেন, যারা গিয়েছে তারা ছাড়াও আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সব মিলিয়ে কতজন রোহিঙ্গা এবার এখানে আসছে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ১০০৬ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছেন। এখানে পৌঁছানোর পর তাদেরকে নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান,ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম ।

গত ৩০ জানিয়ারি ১০ দফায় ৭১৮ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যান। বর্তমানে ভাসানচরে বসবাস করছেন প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা । এছাড়াও গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।