নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার সৌদি আরবে হজে যাওয়ার সুযোগ পেলেও বিভিন্ন রকম জটিলতাসহ ভিসা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ৩৯৭ জনের যাওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। গতকাল সচিবালয়ে সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক ঝুট-ঝামেলার পরেও এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১০৩ জন হজে গিয়েছেন। যাওয়ার কথা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ৫০০ জনের। সে হিসেবে ৩৯৭ যাত্রী ভিসা, টিকিট ও অন্যান্য সমস্যার কারণে যেতে পারছেন না।’
মন্ত্রী জানান, বিমানের শেষ হজ ফ্লাইট রোববার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে। গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা ও রাত সোয়া ৮টায় সৌদি অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট রয়েছে। আটকে যাওয়া ৩৯৭ জনের মধ্যে কারও ক্ষেত্রে যদি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, তাহলে তারা ওই দুটি ফ্লাইট ধরতে পারবেন।
তবে সেই সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন হজ ফ্লাইটের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর বিমান ৬৪ হাজার ৮৭৩ জন এবং সৌদি অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্স ৬২ হাজার ২৩০ জন হজযাত্রী বহন করছে।
যেসব হজ এজেন্ট এই জটিলতার জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা মূলত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। যেসব ট্রাভেল এজেন্ট টিকিট নিয়ে যাত্রী দেয়নি, তাদের লাইসেন্স আমরা বাতিল করার পদক্ষেপ নেব।’
ভিসা জটিলতা, মোয়াল্লেম ফি পরিশোধ ও বাসা ভাড়ায় বিলম্বের কারণে বাংলাদেশ বিমানের ২৪টি ফ্লাইট এবং সৌদিয়ার চারটি ফ্লাইট এবার বাতিল করতে হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোর কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়ে মেনন বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের হজ এজেন্সি ধরে আনতে র্যাব ইউজ করতে হয়েছে টাকা আদায়ের জন্য।’