নিজস্ব প্রতিবেদক: পপুলার গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট গোয়েন্দা)। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড ও পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লিমিটেড। ফাঁকি হয়েছেÑস্বীকার করে প্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ভ্যাট জমা দিয়েছে এ দুই প্রতিষ্ঠান। ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহাপরিচালক জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পপুলার গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের (পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., হাউস-১৬, রোড-০২, ধানমন্ডি, ঢাকা এবং পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লি., হাউস-২৫, রোড-০২, ধানমন্ডি, ঢাকা) ফাঁকি উদ্ঘাটনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের সিএ ফার্ম প্রত্যায়িত বার্ষিক প্রতিবেদন ও ভ্যাটবিষয়ক অন্যান্য তথ্য-উপাত্তের আড়াআড়ি যাচাই করা হয়।
ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সারের নেতৃত্বে একটি দল পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডের ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত কার্যক্রম তদন্ত করে। তদন্তে নানা সেবার বিপরীতে উৎসে ভ্যাট ফাঁকি বাবদ ২ কোটি ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭০ পাওয়া যায়। এ অপরিশোধিত ভ্যাটের ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে ২ শতাংশ হারে প্রযোজ্য সুদ ১ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৬ টাকা। অন্যদিকে ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে একটি দল পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লিমিটেডের ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত কার্যক্রম তদন্ত করে। তদন্ত মেয়াদে নানা সেবার বিপরীতে উৎসে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ৪৫৬ টাকা বের হয়। এ অপরিশোধিত ভ্যাটের ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে, ২ শতাংশ হারে ৯৬ লাখ ২৬ হাজার ৬০৩ টাকা সুদ প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তদন্ত মেয়াদে অপরিশোধিত মূসক ও সুদ বাবদ উদঘাটিত সমুদয় রাজস্ব স্বপ্রণোদিত হয়ে ও স্বেচ্ছায় সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।