Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 8:32 am

মজুত টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হবে না: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: যে পরিমাণ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মজুত আছে, তাতে প্রথম ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের শতভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম। গতকাল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি একথা জানান।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া চলছে। এখন পর্যন্ত যা মজুত আছে, তা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ যাদের পাওয়ার কথা তাদের শতভাগকে আমরা দিতে পারব না। বিভিন্ন কূটনৈতিক মাধ্যমসহ অন্য চ্যানেলে যোগাযোগ চলছে। আমরা আশা করছি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার যে ঘাটতি আছে, ভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারব। আমরা আট সপ্তাহের ব্যবধানে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটি কোনো কোনো দেশে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। কাজেই সে ক্ষেত্রে কিছু সময় আমরা পাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যে আলোচনা চলছে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন নিয়ে, আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষে অথবা সামনের মাসের শুরুতে আশার খবর শোনাতে পারব।’

ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক আরও বলেন, ‘হাসপাতালগুলোয় কী পরিমাণ মজুত আছে, তার ওপর নির্ভর করে কবে নাগাদ বন্ধ হতে পারে। আমাদের কাছে যে পরিমাণ মজুত আছে তাতে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ চলা যাবে বলে ধারণা। তবে এটি প্রতিষ্ঠানভেদে দু-এক দিন কম-বেশি হতে পারে। কারও যদি আজকে মজুত শেষ হয়ে যায়, তাহলে কালকে কাউকে আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে না। মজুত শেষ হয়ে গেলে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেয়া বন্ধ থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন করে সংগ্রহ করতে না পারি। যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সুযোগ নেই।’

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ২০ থেকে ২৬টি পরীক্ষাগারে জিনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে। তবে সিকোয়েন্সের জন্য আমাদের কিছুটা সময় লাগে। সেই সময় ও তথ্য-উপাত্ত প্রায় নিশ্চিত হয়ে সংগ্রহ করার পরই আমরা সেটি ভাগাভাগি করে নিই। কাজেই আমাদের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেশিসংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করা।’

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে যারা ফিরে আসছেন, জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ছয় রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হননি।

নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ভারত থেকে ফেরত আসা অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালানোর অপচেষ্টা করছেন। তাদের অনেককে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে আনছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।