মঠবাড়িয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কাকড়াবুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ায় যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পলেস্তারা খসে বিমের রড বেরিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়টির অবস্থা এখন নাজুক। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। খবর পরিবর্তন ডটকম।

জানা যায়, কাকড়াবুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে বিদ্যালয়টির পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। তিনটি অপরিসর শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিসকক্ষের এ স্কুল ভবনটি নির্মাণের চার বছরের মাথায় জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করে। পুরো ভবনটির দেয়ালজুড়ে মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়। বর্তমানে ছাদ ও বিমের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। বিকল্প স্কুল ভবন না থাকায় নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে পাঠদান করা হচ্ছে।

অন্যদিকে অনেকদিনের পুরোনো বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল নড়বড়ে অবস্থা। আসবাবপত্রের চরম সংকট। শিশুদের জন্য বিশুদ্ধ পানিরও কোনো ব্যবস্থা নেই। সুপেয় পানির জন্য কোনো টিউবওয়েল কিংবা পুকুর না থাকায় পার্শ্ববর্তী খালের পানি পান করে শিশুরা। টয়লেট থাকলেও তা জরাজীর্ণ অবস্থায় ব্যবহার অনুপযোগী। বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে ছাদের পলেস্তারা খসে বিভিন্ন সময় প্রায় দশ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ স্কুলটিতে বর্তমানে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুচিত্রা রানী জানান, বিকল্প শ্রেণিকক্ষ না থাকায় মৃত্যুভয় নিয়েই পাঠদান করতে হচ্ছে। নতুন স্কুল ভবন অত্যন্ত জরুরি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল স্কুল ভবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে জানান, এই মুহূর্তেই জরাজীর্ণ স্কুল ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা উচিত। না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বিকল্প শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিশুদের অন্যত্র পাঠদান করানোও যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইউনুস আলী হাওলাদার বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা জরুরি স্বীকার করে জানান, নতুন ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। কয়েক দফা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।