নিজস্ব প্রতিবদেক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলসের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল বিকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে ডিএসইকে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মতিন স্পিনিংয়ের প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে; যা এর আগের কার্র্যদিবসের তুলনায় ৫০ পয়সা বা এক দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। গত বছরের নভেম্বরে বড় দরপতনের পর চলতি বছরের শেষদিক থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দর ঊর্ধ্বমুখী। তবে এখনও পতনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি মতিন স্পিনিং।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, মতিন স্পিনিংয়ের পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির ২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। সভায় আলোচনার পর বিনিয়োগকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে সেই তথ্য জানাবে কোম্পানিটি। এর আগে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মতি স্পিনিংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল এক টাকা ৫৮ পয়সা। অন্যদিকে আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়ায় দুই টাকা ৬১ পয়সা।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২৩ সাল থেকে মতিন স্পিনিংয়ের আয়-মুনাফা বাড়ছে। ২০২২ সালে এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। এর পরের বছরে এই মুনাফা বেড়ে দুই কোটি ১৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ হওয়া আর্থিক বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে মতিন স্পিনিং।
২০১৪ সালে পুঁিজবাজারে তালিকাভুক্ত হয় মতিন স্পিনিং। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি, এর বিপরীতে অনুমোদিত মূলধন ৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট প্রায় ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক
বিনিয়োগকারীদের হাতে। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা শেয়ারের সংখ্যা ৪৫ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর বাইরে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এ হিসাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দেয়া সবর্নি¤œ ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা মানছেন না উদ্যোক্তা-পরিচালকরা।
