Print Date & Time : 18 July 2025 Friday 9:59 am

মন্দাবাজারে লেনদেন ও দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে বিমা খাত

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল ইতিবাচক গতিতে লেনদেন শুরু হলেও শেষ দেড় ঘণ্টায় বিক্রির চাপে সূচকে পতন নেমে আসে। লেনদেন ও বেশিরভাগ শেয়ারের দরও নেতিবাচক ছিল। গতকাল সব খাতেই ছিল মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা। ব্যতিক্রম ছিল বিমা খাত। গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত গতিতে বাড়ছে এ খাত। গতকালের মন্দাবাজারেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেন ও শেয়ারদর বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেয় বিমা খাত। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকাতেও ৭০ শতাংশ ছিল বিমা খাতের দখলে।
গতকাল জীবন বীমা ও সাধারণ বিমা মিলে এ খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ বা ১৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাধারণ বিমা খাতে ১২ শতাংশ ও জীবন বীমা খাতে পাঁচ শতাংশ করে লেনদেন হয়। আগের দিন বিমা খাতে লেনদেন হয়েছিল ১২ শতাংশ। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অবস্থান করে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স ও ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের সাড়ে ১৭ কোটি ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ১৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৫২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। জেএমআই সিরিঞ্জের প্রায় ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা দরপতনে ছিল কোম্পানিটি। ফার্মা এইডের ১৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে সাত টাকা ৩০ পয়সা। স্কয়ার ফার্মার ১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। বিক্রির চাপে এ খাতে ৬৪ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। বিবিএস কেবল্সের প্রায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দুই টাকা ৩০ পয়সা দরপতনে ছিল। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৭০ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। ব্যাংক, আর্থিক ও জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় ৯ শতাংশ করে। ব্যাংক খাতে মাত্র ২৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ঢাকা ব্যাংকের সাড়ে ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। আর্থিক খাতে আগের দিন ৯০ শতাংশ কোম্পানির দর বাড়লেও গতকাল মাত্র ৩৯ শতাংশের দর বেড়েছে। সাড়ে সাত শতাংশ বেড়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। লেনদেন হয় সাড়ে ১৭ কোটি টাকার। জ্বালানি খাতে ৩১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। লেনদেনের শীর্ষে থাকা খুলনা পাওয়ারের সোয়া ২৮ কোটি টাকার লেনদেন হলেও দর কমে দুই টাকা ২০ পয়সা। ইউনাইটেড পাওয়ারের ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়, দর বেড়েছে সাত টাকা ৬০ পয়সা। পাট, কাগজ ও মুদ্রণ এবং সেবা ও আবাসন খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল।