Print Date & Time : 7 July 2025 Monday 4:20 pm

মহেশখালীর প্যারাবন রক্ষায় নেই স্থায়ী উদ্যোগ

এস. এম. রুবেল, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশ এলাকায় প্যারাবন কেটে অবৈধভাবে তৈরি চিংড়ি ঘোনার বিরুদ্ধে গত শনিবার একটি যৌথ অভিযান চালায় প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ। অভিযানে অংশ নেয় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, মহেশখালী থানা পুলিশ এবং বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

প্রশাসনের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘটিভাঙা এলাকায় তিনটি অবৈধ চিংড়ি ঘোনা গুঁড়িয়ে ও একটি সøুইসগেট ধ্বংস করা হয়। তবে অভিযানের আগেই টের পেয়ে দখলদার ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। অভিযানে একটি মোটরসাইকেল, গামবোট, সোলার প্যানেল ও দাসহ কিছু সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

ইউএনও মুহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ বলেন, সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কোনো অবৈধ দখলদারকেই ছাড় দেয়া হবে না। অভিযান চলমান থাকবে এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে বনবিভাগকে নিয়মিত মামলা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই ধরনের অভিযান শুধু এক দিনের জন্য হয়। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সুফল আসে না। তারা অভিযোগ করেন, অভিযানের পর কিছুদিনের মধ্যে দখলদাররা আবার ফিরে এসে ঘোনা পুনরায় স্থাপন করে।
পরিবেশ সচেতন বাসিন্দারা বলছেন ‘কেবল ঘোনা গুঁড়িয়ে দিলে হবে না, ঘেরের বাঁধসহ পুরো স্থাপনা ধ্বংস করে দখলকারীদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে।’

সচেতন মহলের মতে, বারবার এ ধরনের প্রতীকী অভিযান সমস্যার সমাধান নয়। সোনাদিয়া দ্বীপের মতো পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় স্থায়ী বিট অফিস না থাকায় নিয়মিত নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে প্রশাসনের অভিযান কার্যত ‘কাগুজে উদ্যোগ’ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।