Print Date & Time : 6 September 2025 Saturday 2:31 pm

মাঙ্কিপক্স রোগে আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতা

কভিড মহামারি শেষ না হতেই বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগ নিয়ে সতর্ক করেছে। যেকোনো রোগ সম্পর্কে সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত ধারণা ও জ্ঞান আমাদের সঠিক পথ দেখাতে সাহায্য করে। তাই অকারণে আতঙ্কিত না হয়ে বা বিভ্রান্ত না হয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

মাঙ্কিপক্স নতুন নয়: কভিড-১৯ ছিল একটি নতুন ধরনের ভাইরাস, যা সম্পর্কে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আগে বিজ্ঞানীদের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। মাঙ্কিপক্স কিন্তু নতুন কোনো রোগ নয়। ১৯৫৮ সালে প্রথম এ রোগ সম্পর্কে জানা যায়। তখন এটি বানরের মধ্যে দেখা যেত। ১৯৭০ সালে আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গো রিপাবলিকে প্রথম মানুষের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়। তারপর থেকে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ যেমন কঙ্গো, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, গ্যাবন, সিয়েরা লিওন প্রভৃতি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের কথা শোনা যায়। তবে আফ্রিকার বাইরে এ রোগের প্রাদুর্ভাব তেমন ছিল না।

এটি একধরনের জুনোটিক ডিজিজ, মানে প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। আক্রান্ত প্রাণী বা ব্যক্তির দ্বারা দূষিত ব্যবহার্য বস্তু যেমন তোয়ালে, পোশাক, চাদর স্পর্শ করার মাধ্যমে বা ড্রপলেট (শ্বাস-প্রশ্বাস) থেকে একে অপরকে সংক্রমিত করে ভাইরাস। এটি  ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভাইরাস অর্থোপক্স গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এককালের আতঙ্ক স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের ভাইরাস ভ্যারিওলাও এই গোত্রের ভাইরাস।

উপসর্গ কী কী: অনেকটা গুটিবসন্তের মতো হলেও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ মৃদু। শুরুতে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দেয়। ফুলে যেতে পারে লসিকা গ্রন্থি। এক থেকে তিন দিনের মধ্যে সারা গায়ে ফুসকুড়ি ওঠে। মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই ফুসকুড়ি। বসন্তের মতোই প্রথমে লাল, তারপর ভেতরে জলপূর্ণ দানা, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। [বাকি অংশ আগামীকাল]

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ