নিজস্ব প্রতিবেদক: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নে কনসালট্যান্সি সার্ভিসের জন্য ৪৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ক্রয় প্রস্তাবসহ মোট পাঁচটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গতকাল সচিবালয়ে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ১৭তম সভা কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাংবাদিকদের জানান, ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশে কনসালট্যান্সি সার্ভিস ফর ডিটেইল ডিজাইন, ট্রেড অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী পোর্ট উন্নয়ন প্রকল্প পরিবহন মন্ত্রণালয়ের। এটা অনেক বড় একটা প্রকল্প। কনসালট্যান্সি কাজ করার জন্য ৪৬৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৯ টাকা ব্যয় হবে। জয়েন্ট ভেঞ্চারের অনেকগুলো কোম্পানি। পাঁচটি কোম্পানি এতে সংযুক্ত হয়েছে। জাপানের মূল কোম্পানি ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল কোম্পানি তার সঙ্গে নকশার উন্নয়নে কাজ করবে আমাদের স্থানীয় কোম্পানি ডিসিএলএসএ। সাব-কন্টাক্টে এসেছে মিশসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং পিডিও কোম্পানি লিমিটেড।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ ১ম সংশোধন)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাব-স্টেশন নির্মাণ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের রুটিনকাজে গ্রাহকসেবা বাড়াতে একটি সংশোধিত প্রকল্পের ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয় হবে। কাজটি পেয়েছে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট) ১ম সংশোধন’ শীর্ষক প্রকল্পের দুই লটে লট-৪ ও ৫-এর আওতায় কন্ডাক্টর, এসিএসআর, বার, কন্ডাক্টর, ইনসোলেট ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে শতভাগ পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য নেটওয়ার্ক করা হবে। এতে দুই লটে মোট ব্যয় হবে ৮২ কোটি ৯৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা। কাজটি পেয়েছে পার্টেক্স কেব্ল লিমিটেড ও পলি কেব্ল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। তারা ২৫ শতাংশ কমে কাজটি করবে।