আশিকুল ইসলাম, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোয় আসন খালি থাকলেও শিক্ষার্থী পায় না বিভাগগুলো। ফলে আসন খালি রেখেই ক্লাস শুরু করতে হয় এসব বিভাগে। বিগত বছরগুলোয়ও দেখা গেছে এ চিত্র।
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য নির্ধারিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হলেও বিজ্ঞান ইউনিট থেকে বিভাগ পরিবর্তন কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে আগ্রহী না থাকায়ই এসব আসন খালি থাকে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য বরাদ্দকৃত এসব আসন কমিয়ে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ানো হলে ভর্তির সুযোগ পেত শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও ২০২১-২২ সেশনে ১৯০ আসন খালি রেখে ক্লাস শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বারবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও শিক্ষার্থী পেতে কষ্ট হচ্ছে কলা ও সামাজিক অনুষদভুক্ত সব বিভাগের। গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত হওয়া, বিজ্ঞান ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য কলা
ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আসন বরাদ্দকেই দুষছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া বরাদ্দকৃত আসনের সংখ্যাকেও কারণ হিসেবে মনে করছেন অনেকেই।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন অনুষদ ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট মিলিয়ে ১৭টি বিভাগে মোট এক হাজার ২৭০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ২৭০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। আসনের এ সংখ্যা কমানো হলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞান ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে আসন বরাদ্দ বেশি আছে। এর ফলে দীর্ঘায়িত হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া। এবার বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করে আসন কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, শিক্ষা প্রক্রিয়ায় বিভাগ পরিবর্তন করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানবিকের বিষয় পড়ারও প্রয়োজন আছে। তবে ২৭০ আসন বেশি কি না, তা এককভাবে সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই করা হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, একটা আসন খালি থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের জন্য ক্ষতি। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না চাইলে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী দিয়ে আসন পূরণ করা যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই আসন খালি রাখা কাম্য নয়।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, একাধিক বিভাগ আসন কমিয়ে আনার বিষয়ে চিন্তা করছে। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সম্মিলিত আলোচনায় পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।