প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় মামলা তুলে না নেয়ায় রমজান আলী (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার চাচার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান আলীর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পারাইল গ্রামে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহত রমজান আলী ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বড় ভাই মঈন উদ্দিন বলেন, আমার বাবা মোসলেম উদ্দিন ও চাচা মজিবুর রহমান দুই ভাই। দুই ভাইয়ের মাঝে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৬ সালে নিহত রমজান আলী জমি নিয়ে বিরোধে চাচা মজিবুর রহমানের নামে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর মজিবুর রহমান ও তার লোকজন কয়েক মাস করে জেল খাটেন। সম্প্রতি ওই মামলায় রায় দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন মজিবুর রহমান ও অন্য আসামিরা। এদিন হাজিরা দিয়ে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেন মজিবুর রহমান। মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।
ওই দিন মধ্যরাতে রমজান আলী নিজের মাছের খামার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মজিবুর রহমানসহ ১০-১২ জন রমজান আলীকে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহত অবস্থায় রমজানকে একটি পুকুরে ফেলে দেয়ার সময় তার বাবা মোসলেম উদ্দিন ফেরাতে যান। এ সময় রমজান আলীকেও কুপিয়ে আহত করেন তারা। রমজান আলীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে মজিবুর রহমান ও তার লোকজন পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা রমজান ও তার বাবা মোসলেম উদ্দিনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান আলী মারা যান।
ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
