শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ইন্টারনেট খাতের অবদান ছিল দুই দশমিক এক ট্রিলিয়ন ডলার। এটি দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১০ শতাংশ। ইন্টারনেটভিক্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ সংগঠন ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এমন এক সময়ে মার্কিন অর্থনীতির ক্ষেত্রে এ খাতের প্রভাব সম্বন্ধে উল্লেখ করা হলো যখন অনেক বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে একাধিক প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রস্তাব আসছে দেশটির জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। খবর: রয়টার্স।
দ্রুত বেড়ে ওঠা এ খাতটি বর্তমানে আবাসন, সরকার ও উৎপাদনমুখী শিল্পের পর চতুর্থ অবস্থানেই রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ হিসাব এমন একটি সময়ে প্রকাশ পেল যখন নিরাপত্তা, গোপনীয়তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ফেসবুক, আমাজন, গুগলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট জায়ান্ট তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
ছোট-বড় সব ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করে এ ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের একাধিক সূত্রের আলোকে ওই হিসাব দিয়েছে। ওই হিসাবেই দেখা গেছে উৎপাদন শিল্প থেকে গত বছর মার্কিন অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। পাঁচ বছর আগেও মার্কিন অর্থনীতিতে ইন্টারনেট খাতের অবদান ছিল ৯৬ হাজার ৬২০ কোটি মার্কিন ডলার। সে সময় এটা ছিল জিডিপির ছয় শতাংশ।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়েছে, মার্কিন শ্রমবাজারে ৬০ লাখ কর্মসংস্থান সরাসরি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান, যা মোট শ্রমবাজারের প্রায় চার শতাংশ। এর পেছনে মার্কিন ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ৬৪০ কোটি ডলার। আরও প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ চাকরিও পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট খাতের ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন তথ্য নিয়েছে আদমশুমারি, ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিস (বিইএ) এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচেঞ্জ কমিশন থেকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্রিস্টোফার হুটন ইন্টারনেট শিল্প সম্পর্কে বলেন, ‘এ খাতটি অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই কর্মসস্থান তৈরি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমরা আরও সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ চালাচ্ছি যেন ইন্টারনেটের প্রভাবটি আমরা যতটা সম্ভব সঠিকভাবে পেতে পারি।
