শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে জলবায়ুবিষয়ক ঐতিহাসিক আইন পাস হয়েছে। গত রোববার ডেমোক্রেটদের ৭৫০ বিলিয়ন (৭৫ হাজার কোটি ডলার) ডলারের স্বাস্থ্য, ট্যাক্স ও জলবায়ু আইনটি পাস হয়। একে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার দলের বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর: সিএনএন।
জানা গেছে, বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৫১টি, বিপক্ষে ৫০টি। প্যাকেজটি দীর্ঘ শ্রমসাধ্য আলোচনার ফসল। তাছাড়া এর চূড়ান্ত উত্তরণ ডেমোক্র্যাটদের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে প্রধান নীতির লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডেমোক্রেট-নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আগামী শুক্রবার আইনটি গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বাইডেন আইনে সই করার আগে সেখানে বিলটি অনুমোদন করতে হবে।
আইনটির মাধ্যমে জলবায়ু খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য খাতেও আসবে ব্যাপক পরিবর্তন, কমবে বাজেটের ঘাটতি। কেননা করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে।
আইনটি চূড়ান্ত রূপ পেলে ১০ বছরে ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি ডলার) ডলারের বেশি সরকারি রাজস্ব বাড়বে। কার্বন নির্গমন কমাতে ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাবহার করা হবে ৪৩০ বিলিয়ন ডলার এবং ঘাটতি কমাতে বাকি নতুন রাজস্ব ব্যবহার করা হবে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, সইয়ের মাধ্যমে বিলটিকে আইনে পরিণত করতে তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। বিলটি পাস হওয়ায় সিনেটের ডেমোক্র্যাট-দলীয় সদস্যরা উল্লাস প্রকাশ করেন।
বিলটির বিষয়ে রিপাবলিকান সিনেটররা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সিনেটে তাদের তীব্র আক্রমণের শিকার হয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
এর আগে বছর যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলায় অন্য দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদার হওয়ার অঙ্গীকার নবায়ন করে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন থেকে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর পরিণতি এড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ প্যারিস চুক্তি কাঠামোয় যুক্তরাষ্ট্রের আবার যোগদানের আনুষ্ঠানিক দলিলে স্বাক্ষর করেন। তখন তিনি বলেন, নষ্ট করার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের এমনভাবে লড়াই করতে হবে, যা আগে কখনো করতে হয়নি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ভূমিকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।