Print Date & Time : 15 August 2025 Friday 1:24 am

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ার বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা মিছিল নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করার পাশাপাশি দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। পার্লামেন্টের চূড়ান্ত অধিবেশন গতকাল হওয়ার কথা থাকলেও কভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত করার কথা উল্লেখ করে তা স্থগিত করেন মুহিউদ্দিন। কিন্তু বিরোধীরা বলেছে, তার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা আটকাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। খবর: রয়টার্স।

বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা এদিন মিছিল নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে দিকে অগ্রসর হয় কিন্তু পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। আইনপ্রণেতাদের ফিরিয়ে দেয়ার পর এক বক্তৃতায় বিরোধীদলীয় নেতা আনওয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুহিউদ্দিনের আজ পতন হয়েছে।’ তিনি বলেন, সংবিধান ও রাজার ডিক্রির বিরুদ্ধে যাওয়ায় ও আইনপ্রণেতাদের তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ায় বিরোধীদলীয় ১০৭ জন আইনপ্রণেতার সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছে।

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শুধু এ পথেই দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটতে পারে এবং ১৭ মাস আগে থেকে চলা স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সামাজিক সংকটগুলো সমাধানে পূর্ণোদ্যোগ গ্রহণের দিকে মনোযোগ দেয়া যেতে পারে।’

জরুরি আইনের আওতায় জানুয়ারি থেকে জারি করা অধ্যাদেশ তার সম্মতি ছাড়াই প্রত্যাহার করার কারণে সরকারকে তিরষ্কার করেন মালয়েশিয়ার রাজা। এর পরপরই গত সপ্তাহে নতুন করে পদত্যাগের দাবির মুখে পড়েন মুহিউদ্দিন।

রাজা মহামারি মোকাবিলার সঙ্গে সম্পর্কিত ওই অধ্যাদেশগুলো প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক করতে বলেন। কিন্তু তার প্রয়োজন নেই বলে জানায় সরকার। রাজার মন্তব্যের পর মুহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা আনওয়ার ইব্রাহিম। কিন্তু অধিবেশন বাতিল করায় এই প্রস্তাবে ভোট পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হবে কি না তা পরিষ্কার হয়নি। গত বছর মাহাথির মোহাম্মদ অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ২০২০ সালের মার্চে ক্ষমতায় আসেন মুহিউদ্দিন। তখন থেকেই মালয়েশিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। কভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ক্ষমতাসীন নড়বড়ে রাজনৈতিক জোটের নেতা হিসেবে মুহিউদ্দিন পালার্মেন্টে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে ক্ষমতায় টিকে আছেন।