Print Date & Time : 5 September 2025 Friday 7:21 am

মাসিক টার্নওভারে এগিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাসিক টার্নওভারে এগিয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাত আগের মাসেও টার্নওভারের শীর্ষে ছিল। ডিএসইর মাসিক টার্নওভার চিত্রে এমনটিই উঠে এসেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বরে মোট টার্নওভারের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অংশগ্রহণ ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ মাসে  খাতটির বিভিন্ন কোম্পানির ৩১ কোটি ৯ লাখ ৬৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মূল্য দুই হাজার ৩৫২ কোটি ৬ কোটি টাকা। এ খাতে অক্টোবরের টার্নওভারের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ওই মাসে এ খাতের কোম্পানিগুলোর ২২ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব শেয়ারের মূল্য ছিল এক হাজার ৬৬৭ কোটি ১৩ কোটি টাকা।

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির পরই গত মাসে টানওর্ভারে ছিল প্রকৌশল খাতের অবস্থান। নভেম্বরে প্রকৌশল খাতের অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তাছাড়া টেক্সটাইল খাতের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালসের ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ব্যাংকিং খাতের ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ । অন্যদিকে টার্নওভারে সবচেয়ে কম অংশগ্রহণ ছিল কাগজ ও প্রকাশনা খাতের। এ মাসে খাতটির টার্নওভারের পরিমাণ শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর দেশের পুঁজিবাজার স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও বাড়ছে। এ কারণে বিভিন্ন খাতের শেয়ারে টার্নওভার বাড়ছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি একটি সম্ভাবনাময় খাত হওয়ায় বর্তমান বাজারে কোম্পানিগুলোর ওপর বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক বাড়ছে।

তারা আরও বলেন, তিতাসের শেয়ার অফলোডের খবরে বেশ কিছুদিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ার চাঙা ছিল। তাছাড়া বর্তমানে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে ইতিবাচক ধারা বিরাজ করছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে ওঠায় টার্নওভার বাড়ছে।

এ সম্পর্কে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, বর্তমান বাজারে আগের চেয়ে গতি ফিরে এসেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে। সব দিক দিয়েও বাজার ইতিবাচক। তবে বিনিয়োগকারীদের বুঝে শুনে বিনিয়োগ করা উচিত।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৮টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহের শেষ দিন ১১টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। এ সময় কমেছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। তাছাড়া দুটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি।