শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের রাজনীতির প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম নেতাদের সামনের কাতারে আনতে ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচারকারীদের পদচ্যুত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি ওয়েলসের পার্লামেন্ট সেনেভে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। এমনকি আগামী বছরের মধ্যে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
সেনেভের মানদণ্ড বিষয়ক কমিটি এ ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব এনেছে। এতে নির্বাচনে যেসব প্রার্থী ভোটের সুবিধা নেয়ার জন্য মিথ্যা তথ্য দেন তাদের ফৌজদারি বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। ওয়েলস সরকার আগামী বছরের মধ্যে রাজনীতিতে মিথ্যাচারকে অবৈধ ঘোষণা করতে ‘বৈশ্বিকভাবে পথপ্রদর্শক’ আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং পার্লামেন্টের মানদণ্ড বিষয়ক কমিটিকে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নির্ধারণের দায়িত্ব দিয়েছে।
কমিটির সদস্যরা সেনেভের আচরণবিধি আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছেন। এ আচরণবিধি সেনেভের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো জায়গায় সদস্যদের আচরণের ওপর প্রযোজ্য হবে। কমিটি বলছে, আচরণবিধিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত যে, কোনো সদস্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা বক্তব্য দিতে পারবেন না। যদি কোনো সদস্য মিথ্যা বলেন, তবে তাকে সেই মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হবে এবং সংশোধিত বক্তব্য পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে তার প্রোফাইলে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ওই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হতে পারে এবং গুরুতর পরিস্থিতিতে ভোটাররা তাকে অপসারণের জন্য ‘রিকল’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদ থেকে সরিয়ে তার দলের অন্য কাউকে মনোনীত করতে পারবেন।
কমিটি নির্বাচিত রাজনীতিকদের মিথ্যাচারকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টি বিবেচনা করলেও তা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জটিল বলে মনে করছে। ওয়েলসে এরই মধ্যে একটি আইন রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যক্তিগত চরিত্র বা আচরণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কমিটি এই আইনের আওতা আরও বাড়ানোর সুপারিশ করেছে, যাতে কোনো প্রার্থী নির্বাচনী সুবিধা লাভের জন্য যেকোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য দিলে সেটিকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আইন লঙ্ঘন হলে প্রার্থীকে পুলিশের তদন্ত এবং নির্বাচনী আদালতের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।