শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সরকারের কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংকটের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন অধিকারকর্মীরা।
মিয়ানমারের এক মন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি এবং আরও ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। গত মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিল বলেছে, দুই বছর আগে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর অব্যাহতভাবে সহিংসতা বৃদ্ধি এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন সামরিক বাহিনী ও স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের (এসএসি) সদস্যরা। সামরিক বাহিনী দেশ পরিচালনায় এ পরিষদ গঠন করেছিল। পাশাপাশি বিচার বিভাগ ও কারা পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির পর নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। মিয়ানমারের ৮৪ ব্যক্তি এবং ১১ প্রতিষ্ঠান ইইউর নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ল। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কেউ ইউরোপের ভিসা পাবেন না এবং ইউরোপে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ব্যবসায়ী কিয়াও মিন উও ও স্কাই অ্যাভিয়েটর কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কিয়াওয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের মিয়ানমার সফরের আয়োজনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখেন তিনি। স্কাই অ্যাভিয়েটর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর পক্ষে উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ আমদানিসহ অস্ত্র চুক্তিতে সহযোগিতা করে।
জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এ অভ্যুত্থানে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সরকারকে উৎখাত করার পর দেশটি সংকটে পড়ে।
অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধে পড়ে। এর জবাবে নির্মম হয় সেনাবাহিনী। পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে, গত দুই বছরে দুই হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারের ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক একটি সংস্থা জানিয়েছে।