প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। মাঠের পর মাঠ শোভা পাচ্ছে চোখ জুড়ানো সূর্যমুখী ফুল। ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন এ ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছে এ উপজেলার কৃষকরা।
দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে যতদূর চোখ যায়, শুধু সবুজ আর হলুদ ফুলের সমারোহ। সবুজ গাছের মাথায় সূর্যমুখীর হলুদ ফুলগুলো বাতাসে দুলছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছি আর প্রজাপতি। সেই দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য দেখতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছবি তুলতে ভিড় করছে সব বয়সী মানুষ। সরকারি কর্মকর্তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটির দিনে ছুটে যাচ্ছেন সেখানে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার মধ্যে করেরহাট, হিঙ্গুলী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। গত বছর উপজেলায় দুই হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল, চলতি বছর চার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। চাহিদা ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল, সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে তার দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই হাজারও মানুষ ভিড় করছেন সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য দেখতে।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের সূর্যমুখীচাষি ইউসুফ মিয়া জানান, এ বছরও তিনি এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি এবং ফলনও ভালো হয়েছে।
সূর্যমুখীচাষি রহিম, বাদশা, নাহিদ বলেন, গত বছর আমরা পাঁচ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে ফলন ভালো পেয়েছি বলে এ বছর আমরা একজনে একা প্রায় তিন একর জমিতে সূর্যমুখী লাগিয়েছি। তবে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, এ বছর উপজেলায় চার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে আর ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।