প্রতিনিধি,মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : মীরসরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী কমলার দিঘী পাড়ে রাতের আঁধারে দোয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফখরুল ইসলাম খান সিআইপির দখলে থাকা জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে দীঘির উত্তর পূর্ব পাড়ে দেয়াল নির্মাণ করেন যুবলীগ নেতা নাজমুল হক নয়ন ও তার ভাই। উপজেলার মহাজনহাটের কমলার দিঘীটি দুইদশক আগে ক্রয় করেন ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি। কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নয়ন এর আগেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলে ভুক্তভোগীরা আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং নিষেধাজ্ঞা জারী করা অবস্থায়ও পূনরায় দেয়াল নির্মাণ করে রাতের আঁধারে।
প্রবাসী ফখরুল ইসলাম খান (সি আই পি) জানান, প্রায় দুই দশক আগে এই দীঘিটি ক্রয় করি। আমার দখলে থাকা দীঘির পূর্ব পাড়ে প্রভাব খাটিয়ে দেয়াল নির্মাণ করেন নয়ন ও তার ভাই। এর আগেও দেয়াল নির্মাণ করতে চাইলে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। বর্তমানে এখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে কিন্তু কিভাবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা আমার বোধগম্য নয়।
প্রবাসী ফখরুল ইসলাম খানের এর প্রতিষ্ঠান এফ.আই.কে ডেভেলপমেন্ট প্রপার্টিজ লিমিটেড এর কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ জানান, ২০২০ সালে নয়ন গং তাদের মালিকানা দাবি করলে উভয় পক্ষের উপস্থিতে পরিমাপ করা হয়। পরিমাপ অনুযায়ী যার যার অংশে খুঁটি দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সে পরিমাপকে অমান্য করে গায়ের জোরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে আমাদের চার শতক পঁচাত্তর পয়েন্ট জায়গায় আমাদের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়। এবং তাদের দখলকে জায়েজ করার জন্য একটি মেমোরিয়াল প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয় যার প্রকৃতপক্ষে কোন অস্তিত্ব ছিল না।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা নাজমুল হক নয়নের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনারা আদালতে মামলা করেছে সুতরাং এটা আদালত দেখবে এ বিষয়ে আমি এর বেশি কিছু বলবো না।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন এই বিষয়ে বলেন, দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে আমি অবগত নই। যদি এরকম কোন অভিযোগ পেতাম তাহলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয় তাহলে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করলে আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।