শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তিকে একচেটিয়া বলেই মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাই এ বাণিজ্য চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চায় দেশটি। এ লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা মিলিত হলেও পাঁচ বছরের পুরোনো এ চুক্তি নিয়ে আলোচনা কীভাবে এগোবে, সে বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজার ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী কিম হাইয়ান চং এবং বাণিজ্য চুক্তি যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি গত মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন। তবে আলোচনার পরবর্তী ধাপ কী হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি তারা।
বৈঠকশেষে সংবাদ সম্মেলনে কিম বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের বিভিন্ন মত পাওয়া গেছে। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের প্রস্তাব বিনিময় হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১২ সালে উভয় দেশ বাণিজ্যের ব্যাপারে একটি চুক্তি করে। এ মুক্তবাণিজ্য চুক্তিকে ‘কোরাস’ নামে ডাকা হয়।
ওয়াশিংটন বলছে, চুক্তি কার্যকর করার পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তাদের ঘাটতি বাণিজ্য দ্বিগুণে পৌঁছেছে। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৩ দশমিক দুই বিলিয়ন। আর ২০১৬ সালে এ ঘাটতি বাণিজ্য দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারে। ফলে একতরফা বাণিজ্য বন্ধ করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। রবার্ট লাইথিজার এক বিবৃতিতে বলেন, কোরাসের অধীনে তারা একটি যৌথ কমিটি করেছে। উভয় দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্যে চলমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুন করে বাণিজ্য চুক্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে এ কমিটি কাজ করছে। এর আগে গত এপ্রিলে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোরিয়ার বাণিজ্যকে ‘ভয়ংকর’ আখ্যায়িত করে সাউথ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে এক চিঠি লেখেন, যেখানে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন চায় ‘বাণিজ্যে ভারসাম্য সম্পর্ক’। আর ট্রাম্পের জবাবে সিউল বলছে, ‘উভয়ের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে আগের চুক্তি পরিবর্তিত হতে পারে।
এর আগে ওবামা প্রশাসন কর্তৃক ১২ সদস্য রাষ্ট্রের একটি বৃহৎ বাণিজ্য চুক্তি ‘ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ’ (টিপিপি) থেকে আমেরিকার নাম প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশ রয়েছে টিপিপির দখলে।