নিজস্ব প্রতিবেদক: যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ও আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে মুদ্রা পাচারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। রাজধানীর গুলশান থানার করা মামলায় গতকাল (মঙ্গলবার) তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহছান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শেখ রকিবুর রহমান জানিয়েছেন মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলামকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই আদেশ দিয়েছেন।
আদালাতে এসআই রকিবুর নিজেই শুনানি করেন, আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার। আদালতে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার বিরোধিতা করে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘মালিক হিসাবে বা পাচারের উদ্দেশ্যে আসামিরা অর্থ নিজেরদের হেফাজতে রেখেছিলেন এজাহার বা রিমান্ডের আবেদনের কোথাও এ কথা বলা হয়নি। সেখানে জিকে শামীমের কথা বলা হয়েছে। এ আসামিরা সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর জীবিকার তাগিদে শামীমের অধীনে চাকরি নেন। মামলার কাগজপত্রে ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর একটিতেও আসামিদের নাম নেই। কোথাও কোনো অভিযোগ তারা স্বীকার করেছে, মামলার কাগজে তার উল্লেখ নেই।’
এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র?্যাব। তখন শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র?্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়েছে।
অস্ত্র ও মাদক মামলায় শামীম ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) তার রিমান্ড শেষ হয়েছে। একই দিনে সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।