মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: কয়েক দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। দিন শেষে ১৫ পয়েন্ট কমে সূচকের অবস্থান হয় ছয় হাজার ৭৭১ পয়েন্ট। পাশাপাশি কমতে দেখা যায় লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১৬টির দর কমে। পক্ষান্তরে বাড়তে দেখা যায় ১৩৮টির শেয়ার ও ইউনিটদর। বাকি ২০টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সকাল থেকে সব খাতে ছিল শেয়ার বিক্রির চাপ। কারণ কয়েক দিন মার্কেট ভালো থাকায় সম্প্রতি বিনিয়োগ করা বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট মুনাফায় ছিল। মূলত এসব বিনিয়োগকারীরা গতকাল মুনাফা তুলেছেন। ফলে বিক্রয় চাপ বেশি বেড়েছে। এর জের ধরে কমে গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, গতকাল সবার শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। খাতটি মোট লেনদেনে প্রায় ২০ শতাংশ অবদান রাখতে সমর্থ হয়। এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। এ খাত মোট লেনদেনে ১৭ দশমিক ছয় শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল আর্থিক খাত। লেনদেনে এ খাতের একক অবদান ছিল ১৩ শতাংশের কিছু বেশি।
অন্যদিকে গতকালও ডিএসইতে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। দিন শেষে এখানে দুই হাজার ৪৬৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্য ৭৮ কোটি টাকার বেশি লেনদেন ছিল ব্লক মার্কেটের। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৪১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর দুই কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৫২টি শেয়ার ৮৮ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫১ কোটি ৮০ টাকার লেনদেন হয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ২৩ লাখ আট হাজার টাকা এইচআর টেক্সটাইলের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের।