নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আর আগের বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা করলেও চলতি হিসাববছরের এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৫৫ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১ টাকা ৬ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৩৭ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৮ টাকা ০৯ পয়সা (ঘাটতি)।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ২৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৬৩ পয়সা (ঘাটতি)। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২১ পয়সা।
আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৫ টাকা ৬৮ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৯৯ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৮২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪১ টাকা ৫২ পয়সা।