Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 5:15 am

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আগুনে বসতঘর পুড়ে ছাই

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার দিবাগত আড়াইটার ২টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের প্রধান বাড়িতে আগুনে পুড়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৬-১৭ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে তাদের দাবি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসত ঘরে আগুন দিয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, তেতৈতলা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে কাইয়ুম প্রদানের বাড়ির বসত ঘরে আগুন লাগে রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে। স্থানীয় লোকজন আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি।

পরে খবর পেয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও আসবাবপত্র সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ১৬-১৭ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির হয়।

ভুক্তভোগী কাইয়ুম প্রধানের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, বসত ঘরটি তার বড় ছেলের। ব্যবসার সুবাদে তিনি ঢাকায় রয়েছেন। রাতে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে খবর দেয়। তার ছেলে কাইয়ুমের বসত ঘর আগুন লেগেছে। তিনি বের হয়ে দেখেন বসত করে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।মুহূর্তের মধ্যে। ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে কোনো মানুষ ছিল না। পূর্বের শত্রুতা জের ধরে কোন দুষ্কৃতকারী তার ছেলের বসত ঘরে আগুন দিয়েছেন।

কাইয়ুম প্রধানের স্ত্রী শামীমা জাহান বলেন, স্বামী কাইয়ুম প্রধান ব্যবসার সুব সুবাদে তারা ৬থেকে ৭বছর ধরে ঢাকায় রয়েছেন। প্রতি শুক্রবার তার স্বামী বাড়িতে আসেন। ঘরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর সংযোগ ছিল না। শুক্রবার ঘরে তালা বন্ধ করে ঢাকায় ফিরে আসেন।রবিবার রাত ৩টার দিকে খবর আসে তাদের ঘরে আগুনে লাগছে। সোমবার সকালে এসে দেখেন ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । ঘর থেকে কিছুই বাহির করতে পারিনি। তার ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শত্রুতার জেরে কেউ বা কাহারা আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানাই।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থ্য ছুটে গিয়ে আধা ঘন্টা চেষ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হন। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে ঘটেছে তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।