Print Date & Time : 13 September 2025 Saturday 9:19 pm

মুন্সীগঞ্জে কবর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে দাফনের সাড়ে পাঁচ মাস পর কবর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার মেদিনী মণ্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ উত্তোলন করা হয়। মাওয়া চৌরাস্তাসংলগ্ন পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে শিক্ষক আবু নাছের লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। মামলায় অপর আসামি করা হয়েছে শিক্ষক লিমনের পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবা আক্তারকে। মামলার পর থেকে শিক্ষক লিমন পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার উত্তর মেদিনী মণ্ডল গ্রামের ওহাব খাঁর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু নাছের লিমন প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে শ্রীনগরের সমষপুর গ্রামের জয়নাল খাঁর মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে আনাছ (১৪) ও আহাদ (৭) নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন লিমন। একপর্যায়ে গত ২৪ জুলাই দিলরুবাকে নিয়ে তার বাড়িতে যান শিক্ষক লিমন। এ সময় স্ত্রী তাহমিনা দিলরুবাকে চলে যেতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় তারা তাহমিনাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে তারা লাশ দাফন করেন।

এদিকে পুলিশ মামলা নিতে তালবাহানা শুরু করে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। পরে আদালতে মামলা দায়ের করেন নিহত ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান।

এ বিষয়ে লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, গত মাসে মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত থেকে থানায় আসে। গতকাল একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।