মুন্সীগঞ্জে ভাসমান পাটের হাট

শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের দুইশ বছরের প্রাচীন ভাসমান পাটের হাট। জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় বাজারের পাশে পদ্মার শাখা নদীতে সপ্তাহে দুই দিন বসে ঐতিহ্যবাহী এ হাট। মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলা থেকে এখানে নৌকায় করে পাট বিক্রি করতে নিয়ে আসেন প্রান্তিক কৃষক। তবে এ বছর পাটের দাম কম থাকায় হতাশ কৃষক।

সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই নদী পথে ট্রলার ভর্তি পাট নিয়ে হাজির হয় পাটচাষি ও ব্যবসায়ীরা। একটু আলো ফুটলেই শুরু হয় পাট বিক্রির হাঁকডাক। ভাসমান এ হাটে ট্রলার বা নৌকার ওপরে বসেই চলে পাটের দরদাম ও বেচাকেনা। প্রায় দুইশ বছর ধরে এভাবেই চলছে ঐতিহ্যবাহী ভাসমান এ পাটের হাট।

প্রতি বছর জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় এ ভাসমান হাট। চলে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। প্রতি হাটে চার থেকে পাঁচ হাজার মণ পাট বিক্রি হয়। এসব পাটের মান, আকার ও রংভেদে প্রতি মণ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর শুরুতে পাটের দাম ভালো পাওয়া গেলেও বর্তমানে চাহিদা কম থাকায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শান্তনা রানী জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতে পাটের ভালো দাম পেয়েছে কৃষক। তবে শেষ পর্যায়ে এসে দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া যায় তাহলে কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাবে। সপ্তাহে দুই দিন ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত থাকে পদ্মা নদীর তীরে এ প্রাচীন ভাসমান হাট।