প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের জাজিরা কুঞ্জনগর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে সামিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। তবে নিহতের পরিবারের দাবী গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই শশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।
নিহত সামিয়া মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চরকিশোরগঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার আর্শেদ বেপারীর মেয়ে ও সদর উপজেলার জাজিরা কুঞ্জনগর গ্রামের জমির বেপারীর ছেলে কামাল বেপারীর স্ত্রী। তাদের মধ্যে ২ বছর আগে বিয়ে হয়।
নিহতের বড় বোন শাকিলা আক্তার দাবী করেন, টাকা চেয়ে না পেয়ে শশুর-শাশুড়ি, ভাসুর ও নদদরা মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বসতঘরে ফেলে রেখে গেছে।
সামিয়ার মা শিরিনা বেগম জানান, ‘আমি খবর পেয়ে গেছি। গিয়ে দেখি আমার মেয়ে অন্ধকার ঘরে পড়ে আছে। আশেপাশে কেউ নাই। আমার মেয়েকে গলায় ফাসিঁ দিয়ে মেরে ফেলে রেখেছে তার শাশুড়ি, ভাসুর ও ননদ। আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করতো শশুড় বাড়ির লোকজন। সামিয়ার স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন তিনি।”
সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজিব দে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্বামী বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেন। গৃহবধুর গলায় শক্ত রশির দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।