Print Date & Time : 15 August 2025 Friday 1:59 am

মুশফিকের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস

ক্রীড়া ডেস্ক: অনুশীলনের সময় পাঁজরে হালকা চোট পাওয়ায় মাঠে নামা নিয়ে একরকম শঙ্কা ছিল মুশফিকুর রহীমের। শেষ পর্যন্ত সবকিছু পেছনে ফেলে গতকাল এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাট হাতে তুলে নেন এ ডানহাতি। দলের প্রয়োজনে খেললেন অসাধারণ ইনিংস। সেই পথ ধরে একপর্যায়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিরও দেখা পান তিনি। তার পরও থামেননি বগুড়ার এ ক্রিকেটার। ওয়ানডে’তে নিজের আগের সর্বোচ্চ (১১৭) রানকেও টপকে যান। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশও পেয়ে যায় লড়াকু সংগ্রহ।
গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই এক বছর পর শ্রীলঙ্কা দলে ফেরা লাসিথ মালিঙ্কার তোপে পড়ে টিম টাইগার্স। মাত্র ২ রান তুলতেই স্টিভ রোডসের শিষ্যরা হারায় লিটন ও সাকিবকে। এর কিছুক্ষণ পরই হাতের আঙুলের পুরোনো চোটে পড়েন তামিম। তাই তিনিও ছাড়েন মাঠ। তাতে আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মোহাম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিকুর রহীম ধরেন হাল। একপ্রান্ত আগলে এ জুটি খেলেন দুর্দান্ত। তাতে কক্ষপথে ফেরে মাশরাফির দল। এরই একপর্যায়ে এ ডানহাতি ৬৭ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। সেই ইনিংসটাকে তিনি সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ১২৩ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ১৫০ বলে ১৪৪ রান করে। ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৪ ছয়। ওয়ানডেতে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১১৭। বলতে গেলে তার ব্যাটেই টাইগাররা ৪৯.৩ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে গেছে।
গতকাল মুশফিকের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন। তাতেই বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। কিন্তু ইনিংসের ২৬তম ওভারে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে মিথুন ফিরে গেলে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। কেননা সে সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দ্রুত ফিরে যান সাজঘরে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেও দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে গেছেন মুশফিক। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, যেটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতক।

নবম উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ২৬ রানের একটি জুটি গড়েন মুশফিক। ১০ রান করে মোস্তাফিজ রানআউটের কবলে পড়েন। এ অবস্থায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাঠে নেমে যান তামিম ইকবাল। ওভারের শেষ বলটি এক হাতেই ঠেকিয়ে দেন তিনি। এরপর ঝড় তোলেন মুশি। তাতেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় লড়াইয়ের পুঁজি।