প্রতিনিধি, জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন অনুষদের ফল পুনর্মূল্যায়নসহ ৩ দফা দাবিতে একটানা ২২ ঘন্টা যাবৎ অনশন করছেন ওই অনুষদের তিন শিক্ষার্থী। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে একাডেমিক কাউন্সিল চলাকালে এ কর্মসূচি শুরু কর এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, দুপুর ১.৩০টা ) তারা অনশন পালন করছে।
তাদের দাবিগুলো হলো : আইন অনুষদের ৪৯তম ব্যাচ থেকে ৫১তম ব্যাচের ফল পুনর্মূল্যায়ন, ভর্তি পরীক্ষায় আইন অনুষদের জন্য আগের মতো আলাদা ইউনিট করা এবং স্থায়ী ভবন বরাদ্দ করা। অনশনকারী তিন শিক্ষার্থী হলেন ২০১৯-২০ সেশনের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী রফা রওনক ও মালিহা হাসান মাঈশা, ২০২০-২১ সেশনের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান।
এ বিষয়ে অনশনরত শিক্ষার্থী রফ রওনক বলেন, ‘ ফলাফল পুনঃ মুল্যয়ন ; আইন অনুষদের জন্য আলাদা ভবন নির্মানসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে দীর্ঘধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান ফল দেখতে পাইনি। অনুষদের স্বৈরাচারী শিক্ষক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালের অন্যায়ের বিচার ও ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত হওয়া কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়েও কোনো সিন্ধান্ত আসেনি। ধার করা ক্লাসরুম আর মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে আমাদের অনুষদ এ সমস্যা সমধানেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে তামাশা করছে। নিরুপায় হয়ে আজকে আমরণ অনশনে বসেছি। দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন থেকে উঠব না।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার ফলাফল পুনঃমূল্যয়ন, আইন বিভাগের আলাদা অর্ডিন্যান্স বাতিল করার বিষয়ে মৌখিকভাবে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এবং বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান৷
এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের একাত্নতা পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ল এ্যালমনাই ফোরাম ‘। বিবৃতিতে বলা হয় ” আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষারর্থীদের তিন দফা- ১. ৪৯ হতে ৫১ ব্যাচের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন; ২. এফ ইউনিট পৃথকীকরণ এবং ৩. স্থায়ী ভবন বরাদ্দ দাবিতে যে অবস্থান কর্মসূচি চলছে তা যৌক্তিক মনে করে উক্ত বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা একাত্মতা ঘোষণা করছে। উক্ত অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততা বিস্মিত করেছে। আইন অনুষদের সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানে প্রশাসনকে আন্তরিক হওয়া এবং সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।”