মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে দুই কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই এডিএন টেলিকম লিমিটেড ও ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এডিএন টেলিকম লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ৩১ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৬১ টাকা ৩০ পয়সা, যা গত ৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৭১ টাকা ৫০ পয়সায়। এ হিসেবে তিন কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকালও ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা সাত টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৮ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়।

আইটি খাতের কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটির গত ২৯ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন তাদের শেয়ারদর ছিল ৩৫ টাকা ৪০ পয়সা, যা গত ৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়। এ হিসেবে মাত্র চার কার্যদিবসের ব্যবধানে দর বেড়েছে আট টাকা ১০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

তবে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৯১ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।

যার সমাপনী দর ছিল ৪১ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে জেড ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ তিন কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৭৭ লাখ শেয়ার রয়েছে।