নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি’র। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্র্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে। ওই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা, যা গত ৪ জানুয়ারি লেনদেন হয় ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকালও কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা চার টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫২ লাখ ১০ হাজার ১৫৩টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯৪২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৫ টাকা থেকে ৪৭ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৭ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭১ পয়সা।
৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৫ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৯৩ শতাংশ, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।