Print Date & Time : 13 September 2025 Saturday 12:04 pm

মৃত্যুপুরী ফিলিস্তিন কারদায় কতটুকু?

মারিয়া হক শৈলী: মধ্যপ্রাচ্য পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত স্থানগুলোর একটি। বিশ শতকের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এ অঞ্চলটির আবির্ভাব। তারপর থেকে এ অঞ্চলটি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিংবা তাদের বিপরীতে নিজেদের শক্ত অবস্থানের জানান দিতে থাকে। কিন্তু আবির্ভাবের পর থেকেই এ অঞ্চলটিকে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘মধ্যপ্রাচ্য সংকট’ হিসেবে পরিচিত এবং এ সংকট আজও চলমান। মধ্যপ্রাচ্য সংকট বলতে মূলত ফিলিস্তিন বা মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের দ্বন্দ্বকেই বোঝানো হয়; যে দ্বন্দ্বের অন্তিম পর্ব ঠিক কবে নাগাদ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করবে তা আজও অনিশ্চিত।

মধ্যপ্রাচ্য মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এ এলাকায় হুট করে একটি ইহুদি রাষ্ট্রের উত্থানই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জন্ম দিয়েছে যে সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার ফিলিস্তিন। ১৫১৭-১৯১৭ সাল অবধি ফিলিস্তিন অটোমান সাম্রাজ্যের আওতাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে শাসিত হয়ে আসছিল। পরে ১৯১৮ সালে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয় তখন সমগ্র বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক ভিন্ন আকার ধারণ করে। অটোমান সাম্রাজ্য এ যুদ্ধের প্রভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ঐক্যও হুমকির মুখে পড়ে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তের পর ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনকে শাসন করতে শুরু করে। ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনের শাসনভার গ্রহণের পরপরই সে অঞ্চলটিতে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জে বেলফো জায়ানিস্ট বা ইহুদি আন্দোলনের নেতা লর্ড রথসচাইল্ডকে একটি চিঠি দেন। ৬৭ শব্দের সেই চিঠিটিই ছিল ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের প্রথম পদক্ষেপ। যদিও ফিলিস্তিন সে সময় অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ এবং সংখ্যালঘু ইহুদি জনগোষ্ঠীর আবাস। ওই এলাকার জনসংখ্যার দিক থেকে যা শতকরা ৯ শতাংশ। ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল ইহুদিদের জন্য একটি ‘জাতীয় আবাস’ তৈরি করা। বেলফোর ঘোষণার পরপরই ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইহুদি সম্প্রদায়রা ফিলিস্তিনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। যদিও অনেক আগে থেকেই ইহুদিরা ফিলিস্তিনে নিজেদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের কথা ভেবে আসছিল। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বেলফোর চুক্তির অনেক থেকেই অর্থাৎ ১৮৮২-১৯০৩ সালের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ইহুদি ফিলিস্থিনে স্থানান্তরিত হয়ে বসবাস করা শুরু করে। ১৯০৪-১৯১৪ সালের মধ্যে আরো ৪০ হাজার ইহুদি ম্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলটিতে বসতি স্থাপন করে। পরে ইহুদিদের সিয়োনবাদ বা জায়নবাদী আন্দোলন গড়ে উঠলে তাদের চোখ পড়ে মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব ভূখণ্ডতে। ১৯৩৩ সালে জার্মানির এডলফ হিটলার ইহুদি নিধন অভিযান শুরু করলে, প্রান ভয়ে আরও বহুসংখ্যক ইহুদি এ অঞ্চলটিতে পালিয়ে আসে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯২২-১৯৩৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে  এ অঞ্চলটিতে যেখানে ইহুদি ছিল শতকরা মাত্র ৯ শতাংশ, সেখানে এ অল্প কয়েকবছরে ইহুদি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ২৭ শতাংশে উন্নীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইহুদিদের এ অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আরব রাষ্ট্রগুলো আওয়াজ তুললে সংঘটিত হয় ‘আরব-বিদ্রোহ’। এ বিদ্রোহে প্রায় ৫ হাজার আরব প্রাণ হারিয়েছিল। এ বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার নিজেদের সুর পাল্টাতে থাকে। সরকার বুঝতে পারে, এতকিছুর পরও যদি ইসরাইলের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবটি গৃহীত হয় এবং সে অঞ্চলটিতে আরও ইহুদি স্থানান্তরিত হয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তাদের আরও বেশ কিছু দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে, যা নিজেদের শাসনকেও হুমকিতে ফেলবে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের এমন আচরণে ইহুদিরা তাদের শত্রু ভাবতে শুরু করে এবং আরব ও ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এসব চাপ সামাল দিতে না পেরে ব্রিটিশ সরকারকে ১৯২২ সালে লীগ অব ন্যাশনসের সভায় ফিলিস্তিনকে শাসন করার জন্য যে বৈধ ম্যান্ডেট প্রদান করা হয়েছিল, ব্রিটেন তা হতে নিজেদের সরিয়ে আনে।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ এ রাষ্ট্রটির ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব নিলেও তেমন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। জাতিসংঘ তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটিকে দুই ভাগে ভাগ করে। এক ভাগ ইহুদিদের এবং আরেক ভাগ আরবদের। নিয়ম অনুযায়ী ইহুদিরা ফিলিস্তিনের মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশ জমির মালিক হওয়ার দাবি রাখে; কিন্তু তাদের দেয়া হয়েছিল মোট জমির প্রায় অর্ধেক। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সেদিন জাতিসংঘকে ব্যবহার করে ফিলিস্তিন এলাকায় অবশেষে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হয়। এর ঠিক এক বছর পর, অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর পরই ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের মিসর, জর্ডান, লেবানন ও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এটিই ছিল আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রথম যুদ্ধ। সে সময় প্রায়  সাত লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীতে রূপান্তরিত হয়। পরে আরও দু-বার এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। একটি ১৯৬৭ সালে এবং আরেকটি ১৯৭৩। দুটি যুদ্ধেই ইসরাইল খুব সফলতার সঙ্গে লাভবান হয়। ৬৭’র যুদ্ধে মিসরের সিনাই এবং সিরিয়ার গোলান উপত্যকা ইসরাইলের দখলে আসে। পরে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে সিনাই উপত্যকা মিসর ফিরে পেলেও সিরিয়া কখনও তার গোলান উপত্যকা ফিরে পায়নি।

১৯৬৭ সালের সে যুদ্ধের মাধ্যমেই ইসরাইল ফিলিস্তিন এলাকার গাজা ও পশ্চিম তীর দখল করে নিয়েছিল। মূলত এর পর থেকেই ফিলিস্তিন হয়ে যায় নিজ ভূখণ্ডে পরবাসী। দখলদারিত্বের পর থেকেই ইসরাইল নানানভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনের জমি দখল, পবিত্র শহর জেরুজালেমে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা, হত্যা, বসতি উচ্ছেদসহ নানান অপকর্ম চালিয়ে আসছে রাষ্ট্রটি। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিন কখনই ইসরাইলিদের আবাসভূমি ছিল না, ইসরাইল মূলত অবৈধভাবেই এখানে নিজেদের আবাস গড়ে তুলেছে, যা বর্তমান আধুনিক বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।

অনেকেই মনে করেন, জাতিসংঘের মোট অর্থের প্রায় ২২ শতাংশ অর্থের জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলপন্থি। এর প্রমাণ স্বরূপ অতীতের দুটি ঘটনা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়। ১৯৯৬ সালে ২০ জানুয়ারি ফিলিস্তিন এ স্বশাসিত এলাকায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দশ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে সে অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ইয়াসির আরাফাত। পরে ক্যারিশম্যাটিক এ নেতার হাত ধরে অতীতের সংঘাত ভুলে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি ও কিছু কৌশল অবলম্বন করে ধীরে ধীরে  ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি গড়ে উঠছিল, যা ছিল একটি আশার আলো। কিন্তু হুট করেই ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের মৃত্যু এ প্রক্রিয়াকে অনেকটা ধীরগতি দান করে। যদিও ফিলিস্তিনিরা অনেক আগে থেকেই রাবিনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল, কিন্তু রবিন মূলত নিহত হয়েছিলেন নিজের জাতি ভাইয়ের দ্বারাই। অর্থাৎ একজন ইহুদিই তাতে হত্যা করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যও এ ঘটনায় মর্মাহত হয়। সব কিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যখন এ হত্যাকাণ্ডে ব্যথিত হয়ে জেরুজালেমে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় শোকে নিজে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন, তখন ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন করে নানান প্রশ্নের জন্ম দেয়। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সে ঘটনাটির মাধ্যমে ক্লিনটন প্রমান করে দিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইসরাইল রাষ্ট্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস থেকে আরও জানা যায়, ক্লিনটন ছাড়াও আমেরিকার আরও অনেক প্রভাবশালী নেতা তিনটি প্লেনে করে জেরুজালেমে এসে সে রাষ্ট্রীয় শোকে অংশ নিয়েছিল।

আরেকটি ঘটনা ২০১৭ সালের। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো অবস্থান নিলে ‘দেখে নেয়া হবে’, এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্যরাষ্ট্র ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এর পরপরই জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ঘোষণা দেন যে, আগামী অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ এ জাতিসংঘে অর্থায়ন ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার কমাবে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের বাজেট বরাদ্দে আরও কাটছাঁট করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

এ দুটি ঘটনার মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কিছুটা আন্দাজ করা যায়, আন্দাজ করা যায় জাতিসংঘের প্রকৃত অবস্থানও। তাছাড়া বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্রটির ক্ষমতা এতটাই বেশি যে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একটা বিশাল অংশ এ রাষ্ট্রটিই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আগে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলটিতে দাপটের সঙ্গে বিচরণ করলেও, এখন এ রাষ্ট্রটি এ অঞ্চলটির অনেক জায়গা থেকেই নিজেদের সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছে এবং ইসরাইলের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করছে।

১৯৮৭ সালে হামাস আত্মপ্রকাশ করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রথম ইন্দিফাদার বিদ্রোহের মাধ্যমে। ২০০৭ সালে এ দলটি ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চল শাসন করে আসছে। ২০১৭ সালে হামাস নতুন একটি ধারা প্রকাশ করে, যা ফাতাহর সম্পূর্ণ বিপরীত। ইসরাইলের রাষ্ট্রত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানিয়ে বলা হয়, ‘হামাস বিশ্বাস করে যে ‘ইসরাইল’ প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ ‘অবৈধ’। হামাস মূলত ইসরাইল রাষ্ট্রটির ধ্বংস চায়।

অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ফাহাত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর শাসন করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২নং ও ৩০৮নং ধারা অনুযায়ী ইসরাইলের অধিকৃত আরব এলাকা এর প্রকৃত উত্তরসূরিদের ফিরিয়ে দেয়ার কথা, যদিও ইসরাইল তা আজও করেনি। ফাতাহ ২৪২নং ধারাটিকে সমর্থন করে। কোনো রকম সংঘাতে না জড়িয়ে ইসরাইল রাষ্ট্রের পাশাপাশি ফাতাহ চায় ফিলিস্তিনও একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। যেটা হামাস চায় না। ১৯৭৮ সালে মিসর ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। ইসরাইলকে ফাতাহভিত্তিক দল পিএলও (প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন)ও স্বীকৃতি দেয়। বিনিময়ে গাজা ও জেরিকো শহর তারা ফেরতও পেয়েছিল, যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পায়রা উড়বে বলে আশা করা হচ্ছিল কিন্তু ইয়াসির আরাফাত তা বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি।

অবশ্যই শান্তিপূর্ণ উপায়ে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট নিরসরণ সম্ভব। ইয়াসির আরাফাত যে কাজটি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি, চাইলে ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণভাবে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এ সংকট অবশ্যই নিরসণ করা সম্ভব। একই ভাবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক কাঠামোকেও সে সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। অস্ত্র বাণিজ্যের প্রতি নয়; বরং বিশ্ব সংহতিমূলক মতাদর্শের প্রতি আগ্রহ দেখালে এ সংকট থেকে হয়তো উত্তরণ লাভ সম্ভব।

শিক্ষার্থী

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ

ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা