নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের পর দেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হবে। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি কেউ আটকাতে পারবে না। আগামী ২০২৮-২৯ সালে আমরা এ লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সংস্থাগুলোর মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।
মুস্তাফা কামাল বলেন, এটা নিছক একটি চুক্তি নয়, এটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, নিজের বিবেকের কাছে নিজের পরীক্ষা। তবে এ কথা সত্য যে কাজ করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয় না। আকাশে লাখ তারা রয়েছে কিন্তু একটি চাঁদের আলোয় পৃথিবী আলোকিত হয়।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামীতে শিক্ষা ও রাজস্ব খাতের ব্যাপক সংস্কার করা হবে। শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা হবে। রাজস্ব আদায় এমন হতে হবে যাতে বেশি লোক করের আওতায় আসে এবং করের হার কম হবে।
তিনি ব্যাখ্যা দেন, করহার কম হলে একদিকে যারা কর দেন তাদের ওপর চাপ কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে। করের হার কমিয়েও রাজস্ব আদায় ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে তিনি মত দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে লাইন মিনিস্ট্রিগুলোকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, এএন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, শামীমা নার্গিস ও জুয়েনা আজিজ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণও মূল্যায়ন বিভাগ, শিল্প ও শক্তি বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, কৃষি, পানিসম্পদ পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগ, এনএপিডি, বিআইডিএসসহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই হয়।