মোট লেনদেনে ৩২ শতাংশ দুই খাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বাড়ে ২০ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয় ছয় হাজার ৮৬২ পয়েন্ট। একইভাবে বাড়ে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৩টির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর।

এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল বিমা খাত। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য ছিল এ খাতের। লেনদেনের পুরো সময় এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল বেশি। এর জের ধরে দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৫ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকাল বস্ত্র খাত থেকে মুনাফা তোলেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে এই খাতে বিক্রয় চাপ দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে। তবে শেয়ারদর কমলেও বেশি কেনাবেচা হওয়ায় লেনদেনে সবার ওপরে চলে যায় এ খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ গতকাল মোট লেনদেনের ৩২ শতাংশই ছিল দুই খাতের।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৭৫ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে গতকাল মোট ৫১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৬৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৯৯টি শেয়ার ১১৬ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৭৫ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৬ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে আল ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৬০ লাখ ৯ হাজার টাকা জিবিবি পাওয়ারের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের।