প্রতিনিধি, যশোর: যশোরে হঠাৎ কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত বেড়েছে। গতকাল সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে পাঠানোর ফলে দেখা যায়, রোববার রাতে পরীক্ষা করা নমুনাগুলোর মধ্যে ২৮টি পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। এর মধ্যে যশোরের ২৩টি, মাগুরার পাঁচটি নমুনা রয়েছে।
কয়েকদিন ধরে এ ল্যাবের পরীক্ষায় সর্বনি¤œ শূন্য থেকে সর্বাধিক সাতটির মতো নমুনা পজিটিভ ফল দিচ্ছিল। গত শনিবারও প্রকাশিত ফলে সাতটি নমুনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়। এর আগের দুই দিন যথাক্রমে শূন্য ও তিনটি নমুনা পজিটিভ ফল এসেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, রোববার রাতে তাদের ল্যাবে দুই জেলার মোট ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যশোরের ছিল ১৩০টি। এর ২৩টি নমুনা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। আর মাগুরার ১৬টি নমুনার মধ্যে পাঁচটি পজিটিভ ফল দেয়। ফলাফল সংশ্লিষ্ট দুই জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে, ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত যশোরে চার হাজার ৮৮৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৭৩ জন। মারা গেছেন ৫৯ জন। চিকিৎসাধীন ১৫১ জন।
করোনা হানা দেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ৫৬৪ জনের।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ বাড়ায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে যশোরে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নীলগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসেন।
অভিযানকালে তিনি মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতনতা বার্তা দেয়ার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন। এ সময় তিনি সবাইকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। এতে কাজ না হলে ভবিষ্যতে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলার আট উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে একাধিক টিম এ অভিযান পরিচালনা করছে বলে তিনি জানান।