Print Date & Time : 3 September 2025 Wednesday 8:40 am

যাত্রাপুরহাটের নিজস্ব জমি না থাকায় ভোগান্তি

প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুরহাটের নিজস্ব জমি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ইজারাদার। জেলা শহর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত যাত্রাপুর ইউনিয়নে এ হাটটি বসে থাকে দুধকুমর নদীর তীরে। বর্ডারগার্ড বিওপি ক্যাম্পসংলগ্ন এ হাটে দেশি-বিদেশি পশু কেনাবেচার জন্য প্রসৃদ্ধ হলেও হাটের নিজস্ব জমি রয়েছে চাহিদার চেয়ে অনেক কম। প্রতি বছর এ হাটের ইজারা থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রশাসন গড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি আয় করলেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণে নেই কোনো পদক্ষেপ। এ হাট থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয় হলেও হাটের নিজস্ব মালিকানায় জমি কম থাকায় মালিকানা জায়গা ভাড়া নিয়ে হাটের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থের মাশুল গুনতে হয় ইজারাদারকে।

জানা গেছে, ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা সনের হাট বাজার ইজারায় অংশ নিয়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় ইজারাদার নিযুক্ত হন আ ন ম নিয়ামুল সাদেক। তবে এবারে সরকারি ডাকের মূল্য ধার্য্য ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বিগত তিন বছরের গড় অনুযায়ী যাত্রাপুর হাটের ডাক সরকারিভাবে ধার্য মূল্য রাখা হয়। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া, ঘোড়াসহ অন্যান্য পশুর হাট হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানে অবস্থান করছে এ যাত্রাপুরহাটটি। দেশীয় পশুর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী হাট হওয়ায় ভারতীয় পশুর এ হাটে কেনাবেচা করা হয় ব্যাপক হারে। ইজারাদার প্রতিনিধি সাধন মিয়া বলেন, আমরা ১৪৩০ সনে যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার হয়েছি। পশুর হাটের জন্য হাটের নিজস্ব জমি না থাকায় জমি ভাড়া নিয়ে হাট পরিচালনা করতে হবে। এতে আমাদের অতিরিক্ত অনেক টাকা খরচ হবে। যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, যাত্রাপুর হাট একটি প্রসিদ্ধ হাট। এ হাটে অসংখ্য লোকের সমাগম ঘটে। দীর্ঘদিন যাবৎ পশুর হাট মালিকানাধীন জায়গায় বসে আসছে। যাত্রাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শ্রী সচিন চন্দ্র বলেন, যাত্রাপুর হাটের ৩ একর ৬৫ শতাংশ জমি খাস রয়েছে। হাটের প্রশস্ত অনেক বড় হওয়ায় পশুর হাট মালিকানা জায়গায় বসে। যেখানে পশুর হাট বসে এই জমিও হাটের পেরিফেরির আওতায় আনা হয়েছে কিন্তু এখনও অধিগ্রহণ করা হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রাপুর হাটের পেরিফেরি দেখতে হবে। মালিকানা জায়গায় পশুর হাট বসার কারণটি জেনে তারপর অধিগ্রহণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।