শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় নিকোলাস। এর ফলে সেখানে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রাণঘাতী বন্যা। বাংলাদেশ সময় গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপকূলে আঘাত হানার আগে মৌসুমি ঝড় থেকে শক্তি বাড়িয়ে নিকোলাস ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। খবর: বিবিসি।
হ্যারিকেন নিকোলাসের কারণে টেক্সাসের তিন লাখ ২০ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টেক্সাস সীমান্তলাগোয়া লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে অঙ্গরাজ্যটিতে সহায়তা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলে আঘাত হানার সময় হ্যারিকেন নিকোলাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। হাউস্টন এলাকায় নিকোলাস আঘাত হানতে পারে এবং সেখানে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে নিকোলাসের আঘাতে এখনও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
গত ২৯ আগস্ট ‘আইডা’ নামে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল লুইজিয়ানায়। এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল। ‘চার ক্যাটেগরির’ এই ঘূর্ণিঝড় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা পঞ্চম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আইডার আঘাতে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে লাখো বাসিন্দা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার সতর্ক করে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় নিকোলাসের প্রভাবে প্রাণঘাতী বন্যা দেখা দিতে পারে। এতে করে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এদিকে জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা একে ‘প্রাণঘাতী পরিস্থিতি’ হিসেবে বর্ণনা করে সতর্ক করে দিয়েছে।
লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ঝড়ের কবলে পড়ে কেউ যেন অরক্ষিত হয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব আমরা। তিনি আরও বলেন, আইডার কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে ক্ষতি হয়েছিল তা এখনও সম্পূর্ণ সচল হয়নি। ফলে এতে করে আকস্মিক বন্যা শুরু হতে পারে।